বাংলা হান্ট ডেস্ক : পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে (Rajib Sinha) তীব্র ভর্ৎসনা করেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। এদিন পর্যবেক্ষণে রাজীবের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘যদি চাপ সামলাতে না পারেন তাহলে ছেড়ে দিন। রাজ্যপাল বিকল্প নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করে নেবেন।’ এরপরই আজ পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। জানা যাচ্ছে, যদি তিনি এমনই কোনও সিদ্ধান্ত নেন তাহলে পরের নির্বাচন কমিশনার হতে পারেন অজিত বর্ধন।
এই পুরো বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বিচারপতির পর্যবেক্ষণের উপর মন্তব্য করব না। কিন্তু আমাদের বিরোধীরা যা বলতে বা শুনতে যায় কিংবা বলাতে চায়, তাই যদি গণতন্ত্রের শেষ ভরসা আদালতের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয় তাহলে সেটা দুর্ভাগ্যজনক।’
রাজীব কুমারকে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করার বিষয়ে প্রথমে নিমরাজি ছিল রাজভবন। নবান্ন প্রাক্তন মুখ্য সচিবের নাম পাঠালেও রাজ্যপাল আরও কিছু নাম চেয়েছিলেন। পরে অবশ্য রাজীব সিনহার নামেই সিলমোহর দিয়েছিলেন তিনি।
এদিন সেই রাজীব সিনহাকেই কার্যত পদত্যাগ করার কথা বলে ভর্ৎসনা করল আদালত। শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল। কিন্তু শীর্ষ আদালতও হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট করানোর নির্দেশ দিয়েছে।
কিন্তু তারপরেও রাজ্য নির্বাচন কমিশন তার যথাযথ দায়িত্ব পালন করছে না। বরং দেখে মনে হচ্ছে, এমন ভাবে আদালতের নির্দেশ বলবৎ করছে যাতে প্রকৃত উদ্দেশ্য সিদ্ধ না হয়।
এ ব্যাপারে ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে তৎকালীন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনেছেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর কথায়, সেদিন নির্বাচন কমিশনের যে ভূমিকা ছিল তা এখন কেন নেই আমরা বুঝতেই পারছি না। নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা ও প্রভুত্ব আদৌ রয়েছে কিনা সেই প্রশ্ন বার বার তুলেছেন প্রধান বিচারপতি।