বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদিকে যখন চারদিকে সবুজ ঝড় অন্যদিকে অজান্তেই বয়ে গেল একটি গেরুয়া ঝড় হ্যাঁ বিষয়টা কিছুটা কাল্পনিক মনে হলো এটাই সত্যি খড়্গপুরে বিজেপি প্রার্থী প্রেমচন্দ ঝা পেয়েছেন ২৭টি ভোট। মাত্র চারটি ভোট পেয়েছেন তৃণমূলের প্রদীপ সরকার। অথচ ওই আসনে রাজ্যের শাসক দল জয়ী হয়েছে ২০,৮৫৩টি ভোটে। ওখানে কংগ্রেসের চিত্তরঞ্জন মণ্ডলকে ভোট দিয়েছেন দু’জন সরকারি কর্মী। করিমপুরে তৃণমূলের জয়ের ব্যবধান ২৩,৯১০।
অথচ সেখানে পোস্টাল ব্যালটে তৃণমূল প্রার্থী বিমলেন্দু সিংহরায় পেয়েছেন মাত্র ১২টি ভোট।
জয়ের ব্যবধান সত্যি সত্যিই চিন্তার ভাঁজ ফেলাবে তৃণমূল শিবিরে কিন্তু বিজেপির জয়প্রকাশ মজুমদারের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৫৮ জন সরকারি কর্মী। ওই আসনে সিপিএমের প্রার্থী গোলাম রাব্বি পোস্টাল ব্যালটে মাত্র তিনটি ভোট পেয়েছেন। একদিকে ডিজে পে কমিশন নিয়ে বারবার হোঁচট খাচ্ছে সরকার শিক্ষক মহলে ক্ষোভ ফুঁসে উঠছে বাইরে অথচ ওই আসনে ‘নোটা’য় ভোট গিয়েছে চারটি। এই দুই আসনের তুলনায় কালিয়াগঞ্জে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জয়ী তৃণমূলের তপন দেবসিংহ। পোস্টাল ব্যালটেও লড়াইটা তেমনই হয়েছে। তাতে এগিয়ে বিজেপি। পদ্মফুলের প্রার্থী কমলচন্দ্র সরকারের ঝুলিতে গিয়েছে ১৫টি ভোট। তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছেন ১১টি। এভাবেই প্রতিটি কেন্দ্রে বিজেপি সরকারি কর্মচারীদের মন জয় করে নিয়েছে। কংগ্রেসের ধীতশ্রী রায়কে ভোট দিয়েছেন তিন সরকারি কর্মী।
প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য লোকসভা নির্বাচনে বাংলার ৪২টি আসনের মধ্যে পোস্টাল ব্যালটের নিরিখে ৩৯টিতে এগিয়েছিল বিজেপি। মাত্র একটি করে আসনে এগিয়ে ছিল তৃণমূল, সিপিএম এবং কংগ্রেস। রাজ্য সরকারি কর্মীদের কর্মীরা যে তিতিবিরক্ত হয়ে গেছে অনেকটাই তারা সেই ভোট বাক্সে প্রমাণ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু উপনির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে সরকারি কর্মীরা ঢেলে ভোট দিয়েছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা গিয়েছে বিজেপির ঝুলিতে