বাংলাহান্ট ডেস্ক : কলকাতায় (Kolkata) গড়ে উঠবে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম EV (Electric Vehicles) চার্জিং হাব। সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছে ‘ইজি উর্জা’। সূত্রের খবর, দক্ষিণ কলকাতার ঠাকুরপুকুর অঞ্চলে তৈরি হবে বৈদ্যুতিক গাড়ির চার্জিং হাব। প্রায় ৭.৫ কোটি টাকা খরচ করে কলকাতায় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৈদ্যুতিক গাড়ির চার্জিং হাব তৈরি করতে চলেছে এই সংস্থা।
কলকাতায় (Kolkata) বৈদ্যুতিন গাড়ির চার্জিং হাব
সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ‘ইজি উর্জা’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর অশোক কাপুর সম্প্রতি জানিয়েছেন, দক্ষিণ শহরতলির ঠাকরপুকুরে তাঁরা বৈদ্যুতিক গাড়ির চার্জিং হাব নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু করেছেন। আশা করা হচ্ছে আসন্ন দুর্গাপুজোর আগেই উদ্বোধন হয়ে যেতে পারে এই ইভি চার্জিং হাবের (EV Charging Hub)।
আরও পড়ুন : পুতিনের কাছ থেকে পেয়েছিলেন আমন্ত্রণ! মস্কো যাচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী মোদী? মিলল বড় আপডেট
সুবিশাল এই চার্জিং হাব নির্মাণের কাজে প্রায় ৭.৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে সংস্থা। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, চার্জিং হাব তৈরির উদ্দেশ্যে কলকাতার (Kolkata) ঠাকুরপুকুর এলাকায় জমি চিহ্নিতকরণের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। ঠাকুরপুকুরে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা অ্যান্ড্রু ইউল অ্যান্ড কোম্পানির অব্যবহৃত ২ একর জমি চুক্তির মাধ্যমে নিয়েছে তাঁরা।
আরও পড়ুন : একশো দিনের কাজ নিয়ে বড় খবর! এবার ‘ডেডলাইন’ বেঁধে বিরাট নির্দেশ দিয়ে দিল হাইকোর্ট
এই জমিতেই তৈরি করা হচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম EV চার্জিং হাব। সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টরের কথায়, ঠাকুরপুকুরে হতে চলা EV চার্জিং হাবে থাকবে মোট ৩০০টি চার্জার। এই মুহূর্তে বিশ্বের বৃহত্তম EV চার্জিং হাব রয়েছে চিনে। সেখানে রয়েছে ৬৫০টি মতো চার্জার। এরপরই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম EV চার্জিং হাব হতে চলেছে এটিই।
‘ইজি উর্জা’-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর আরও বলেন যে, সোলার প্যানেল বসিয়ে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হবে এই হাবে। পরিবেশের কথা চিন্তা করে শক্তির উৎস হিসাবে তৈরি করা হচ্ছে মাইক্রোগ্রিড। এই মাইক্রোগ্রিড ৪০% পর্যন্ত লোড জোগান দিতে পারবে বলে দাবি অশোক কাপুরের। ‘ইজি উর্জা’-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর জানান, হিমাচল প্রদেশের কারখানায় তৈরি হবে হাবের চার্জার। সেগুলি তারপর নিয়ে আসা হবে ঠাকুরপুকুরে। এই EV চার্জিং হাবে ফাস্ট ও স্লো গতির চার্জারের ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন অশোক কাপুর। তাঁর দাবি, ঘণ্টায় ১২০ কিলোওয়াট পর্যন্ত চার্জিং পরিকাঠামো থাকতে চলেছে নয়া এই হাবে।