রাজ্যে বাজেট পেশ ক্রার দিন অমিত মিত্র এই প্রসঙ্গে বলেন “গ্রামীণ বা শহরাঞ্চলে অত্যন্ত গরিব যাঁরা তিন মাসে ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন, তাঁদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে”। এই প্রকল্পের ফলে অন্তত ৩৫ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন বলে জানিয়েছেন তিনি । আবার এর জন্য রাজ্য সরকার ২০০ কোটি টাকা আর্থিক বরাদ্দ ঘোষণা করে।
পাশাপাশি এনআরসি নিয়েও তিনি বলেন এই এনারসি করার ফলে দেশের মধ্যে বিভাজন করার একটা চেস্টা চালানো হচ্ছে । পাশাপাশি তিনি জিডিপি নিয়েও নানান কথা বলেন। সেখানে বিগত কয়েক বছরে দেশের হাল অনেকটাই খারাপ ,আর সেই খারাপ দিক তুলে ধরে তিনি বলেন দেশের সাধারন মানুষের কথা তো ভাবা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন। রাজ্যে বিদ্যুতের বিল এবং পরিষেবা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে অভিযোগের শেষ নেই।বিরোধীরা জানিয়েছেন এরাজ্যে বিদ্যুতের বিল দেশের অনেক রাজ্যের তুলনায় অনেকটা বেশি।
আর এবার জুড়তে চলেছে নতুন চমক যাদের একাধিক বাড়ি রয়েছে, তারাই এই প্রকল্পে ছাড় পেতে পারেন। অর্থাৎ বাড়িতে টানা তিন মাস না থাকলে আসবে না কোনও বিদ্যুতের বিল। রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগম প্রতি ৩ মাস অন্তর বিদ্যুতের বিল পাঠায়। তিন মাসে কত বিদ্যুৎ ব্যবহার হয় তাকে তিনটি সমান ভাগে ভাগ করে প্রতি মাসের হিসাব করা হয়।
আলাদা করে কোন মাসে কত বিদ্যুৎ ব্যবহার হচ্ছে সেটা দেখার ব্যবস্থা না থাকায় সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র যারা মাসে ৭৫ ইউনিট বা তার কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করবেন তারাই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। যারা ৭৫.০১ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করবেন তাদের পুরো ৭৫.০১ ইউনিটেরই দাম দিতে হবে। তাদের মিলবে কোন ছাড় । গড়ে দিনে ১৮ ঘণ্টা ১০০ ওয়াট বিদ্যুৎও ব্যবহার হয়। অর্থাৎ একটি ফ্যান ও লাইট তাহলেও বিদ্যুতের বিল হবে দিন প্রতি ১.৮ ইউনিট। হিসেব মিলিয়ে দাঁড়ায় ৩ মাসে ১৬২ ইউনিট। যা ছাড়ের সীমার দ্বিগুণ।