বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উৎসবের আবহেই রাজ্যবাসীর জন্য সুখবর। বাংলার (West Bengal) মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে ভরসাযোগ্য, উন্নত মানের এবং পরিবেশ-বান্ধব বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সর্বোপরি রাজ্যে বিদ্যুৎ বণ্টন ব্যবস্থার উন্নতি ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে ২৪১৩ লক্ষ ডলার ঋণ অনুমোদন করল এশীয় উন্নয়ন ব্যাঙ্ক (এডিবি)। এক প্রেস বিবৃতি জারি করে একথা জানিয়েছে এডিবি। তবে এর ফলে রাজ্য সরকারের উপরে বিদ্যুতের (Electricity) মাসুল বাড়ানোর জন্য চাপ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিপুল পরিমাণ ঋণের জেরে রাজ্যের উপর বিদ্যুতের মাসুল বাড়ানোর জন্য চাপ আসতে পারে বলেই মনে করছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কর্তারা। এডিবি তরফে জানানো হয়েছে, ২০২২ সালে কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যুৎ বণ্টনের সার্বিক উন্নয়নে প্রকল্প চালু করেছিল। সেই প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণের স্বার্থেই এই ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে।
এই বিষয়ে এডিবির প্রিন্সিপাল এনার্জি স্পেশালিস্ট রোকা সান্ডা বলেন, পশ্চিমবঙ্গে আর্থিক বৃদ্ধি এবং উন্নয়নের জন্য ভরসাযোগ্য বিদ্যুৎ জোগানের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের বণ্টন উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে সামঞ্জস্য তৈরি করেছে এডিবি-র প্রকল্প।
প্রকল্পে বছরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা ১৩০-এ নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তবে ২০২৬-এর মধ্যে বিদ্যুৎ জোগানের খরচ ও রাজস্ব আয়ের মধ্যে ফারাক মেটানোর জন্য বলা হয়েছে। রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে বণ্টন সংস্থাকে কখনই বিদ্যুতের মাসুল বাড়াতে দেয়নি মুখ্যমন্ত্রী। বহু সমস্যা সত্ত্বেও রাজ্যের বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনও বিদ্যুতের মাসুল বাড়ানোর কথা বলেনি। কিন্তু মাসুল না বাড়ায় বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার আয়-ব্যয়ের ফারাক দিন দিন বেড়েই চলেছে।
আরও পড়ুন: আজই…! সুপ্রিম কোর্টে SSC ২৬০০০ চাকরি মামলায় বড় আপডেট, কি জানা যাচ্ছে?
এবারে বণ্টন সংস্থার বিদ্যুৎ মাসুল যুক্তিসঙ্গত করার কথা বলেছে এডিবি। আর্থিক পরিচালনার ক্ষেত্রে ক্ষমতায়ন, পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুতে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি সাত জেলার ৮৯.৬ লক্ষ গ্রাহকের কাছে বিদ্যুৎ বণ্টন উন্নত করা, কৃষি ও কৃষি ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে আলাদা বিদ্যুৎ ফিডার তৈরি, লো-টেনসন ওভারহেড তার এবং মাথার উপরে গিঁট বেঁধে রাখা তার সরানোর ব্যবস্থা, বিদ্যুতের মান সঠিক রাখা সহ আরও একাধিক বার্তা দেওয়া হয়েছে এডিবি তরফে।