বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হাতেগোনা কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। এরপরেই দুর্গাপুজোর আনন্দে মেতে উঠবে বাঙালি। আলোর সাজে সেজে উঠবে কলকাতা সহ গোটা বাংলা। উত্তর থেকে দক্ষিণ, গোটা বাংলা জুড়ে দেখা যাবে একই ছবি। তবে এর আগে সামনে এল বড় খবর! জানা যাচ্ছে, পুজোর আবহে বিদ্যুৎ পরিষেবা (Electricity Services) বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পুজোর আগেই বিদ্যুৎ পরিষেবা (Electricity Services) নিয়ে বড় খবর
বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কাছে ১০৫ কোটি টাকা বকেয়া। সরকারের (Government of West Bengal) কাছ থেকে যদি বকেয়া টাকা না পাওয়া যায় তাহলে দুর্গাপুজোর আবহেই উত্তরবঙ্গে বিদ্যুৎ পরিষেবা বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইলেকট্রিক্যাল কন্ট্রাক্টার অ্যাসোসিয়েশন। জানা যাচ্ছে, সোমবার রাজ্য সভাপতির উপস্থিতিতে জলপাইগুড়ির একটি হোটেলে ওই সংগঠনের বৈঠক হয়েছে। সেখানে উত্তরবঙ্গের (North Bengal) ঠিকাদাররা মূলত উপস্থিত ছিলেন বলে খবর। জানা যাচ্ছে, সেখানে বেশ কিছু জরুরি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাজ্য ইলেকট্রিক্যাল কন্ট্রাক্টার অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি পবিত্র প্রামাণিক এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা সকল বিদ্যুৎ পরিষেবা দিচ্ছি। আপদকালীন পরিস্থিতিতে আমরা পরিষেবা দিয়ে থাকি। প্রত্যেক বছর পুজোর আগে আমাদের কিছু না কিছু বকেয়া পরিশোধ করে দেওয়া হয়। তবে এবার সরকারের তরফ থেকে বকেয়া পরিশোধ করা হচ্ছে না। এখনও অবধি সরকারের তরফ থেকে পুজোর আগে টাকা পাওয়ার কোনও আশ্বাসও পায়নি’।
আরও পড়ুনঃ কেন খুন করা হল আরজি করের তরুণী চিকিৎসককে? মোটিভ নিয়ে এখনও ধন্দে CBI!
এখানেই না থেমে পবিত্রবাবু বলেন, তাদের পাঁচটি জোন আছে। শিলিগুড়ি জোনের সাত থেকে আট জোনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আপদকালীন পরিস্থিতিতে কাজ করলেও অন্যান্য কাজ হবে না (Electricity Services)। তিনি আরও বলেন, সরাসরি এবং পরোক্ষভাবে তাদের সঙ্গে ২ লক্ষ শ্রমিক পরিবার জড়িয়ে রয়েছে। পুজোর আগে সকল শ্রমিককে অ্যাডভান্স এবং বোনাস দেওয়া হয়। তবে এবার এই নিয়ে জট খুলছে না। পবিত্রবাবু বলেন, ‘বিদ্যুৎ পরিষেবা যাতে কোনও ভাবে বিঘ্নিত না হয় সেটা আমরা চেষ্টা করছি। সরকারের কাছে আমরা দাবি জানাচ্ছি, বকেয়া টাকা পরিশোধ করে দেওয়া হোক’।
একইসঙ্গে উপভোক্তাদের কাছেও একটি আবেদন করেছেন রাজ্য ইলেকট্রিক্যাল কন্ট্রাক্টার অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, হাতজোড় করে আমরা বলতে চাই, পুজোর আগে যদি বিদ্যুৎ পরিষেবা (Electricity Services) না দিতে পারি, আমাদের কিছু বলবেন না। আমরা অপারগ। তবে ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা বন্ধ থাকছে না বলে জানিয়েছেন তিনি।