আমরা অনেকেই হাতি (elephant) পছন্দ করি। কিন্তু এমনও মানুষ আছেন নিজের ছেলেদের যিনি হাতিদের নিজের পুরো সম্পত্তিই লিখে দিয়েছেন। উত্তরাখণ্ডে তুমুল হইচই ফেলে দেওয়া এই ব্যক্তির নাম ইমাম আখতার। আদি নিবাস বিহারের রাজধানী পাটনায়।
পাটনা জেলার জানিপুর এলাকার বাসিন্দা ইমাম আক্তারের হাতি-প্রেম তাকে উত্তরাখণ্ডের রামনগরে নিয়ে এসেছেন। এখানে তিনি ইজারায় জমি নিয়ে ২ টি হাতির লালন পালন করছেন। এখানে তাঁর জীবন দিনরাত হাতির সেবায় কাটছে।
ইমাম হাতিদের জন্য অনেক বড় কিছু করতে চান। তিনি হাতিদের জন্য আলাদা একটি গ্রাম প্রতিষ্ঠা করতে চান, যেখানে বয়স্ক এবং অসুস্থ বা অক্ষম হাতিদের থাকতে পারবে। এ ইজন্য, তিনি রাজ্য সরকার এবং বনদপ্তরের প্রধানকে একটি চিঠিও লিখেছেন।
ইমাম বলেন যে, আজ যখন মানুষ প্রতিটি ইঞ্চি জমির জন্য লড়াই করে চলেছে, এমন পরিস্থিতিতে হাতির জন্য জায়গা খুবই কম। রাজস্থান, ইউপি, বিহার, ঝাড়খণ্ডে সব জায়গাতেই হাতির বাসস্থানের সংকট রয়েছে। ইমামের সহযোগী চন্দন কুমার বলেছেন যে হাতির সুরক্ষার জন্য তিনি আইরাওয়াত নামে একটি সংস্থাও গঠন করেছেন।
ইমাম জানান, তাঁর বাবাও হাতি পুষতেন। শৈশব থেকেই তিনি হাতির কাছাকাছি থাকতে ভালো বাসেন। তার মতে যদি হাতিদের সুরক্ষা না দেওয়া হয়, তবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম কেবলমাত্র বইতেই এই বিশাল প্রাণী সম্পর্কে জানতে পারবে।