বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সরকারি চাকরিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। এর মাঝে কি বিধি বদল করা আদৌ সম্ভব? এবার বড় নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সর্বোচ্চ আদালতের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের তরফ থেকে স্পষ্ট বলা হয়েছে, সরকারি চাকরিতে নিয়োগ চলাকালীন মাঝখানে বিধি বদল করা যাবে না। নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য এটা জরুরি, মন্তব্য আদালতের।
সরকারি চাকরির নিয়োগের মাঝপথে বিধি বদল নিয়ে বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)
সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের কথায়, ‘চাকরির বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে একটি নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ হয়ে গেলে সেটা সম্পন্ন হয়। আগে থেকে নিয়ম যদি না থাকে, তাহলে এর মাঝে নিয়োগের বিধি অথবা মানদণ্ড পরিবর্তন করা যায় না। আর মাঝপথে বিধি বদল করার সংস্থান আগে থেকে থাকলেও সেটা একপাক্ষিক হতে পারে না। সংবিধানের ১৪ ও ১৬ নম্বর ধারার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই বিধি পরিবর্তন করার অনুমতি প্রদান করা যেতে পারে’।
এখানেই শেষ নয়! সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) তরফ থেকে আরও বলা হয়, নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিধিতে কোনও প্রকার বৈষম্য থাকলে হবে না। সেটা সর্বদা স্বচ্ছ হতে হবে। একইসঙ্গে সর্বোচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, যদিও কোনও চাকরিপ্রার্থীর নাম সিলেকশন লিস্টে থাকে, তাহলেই তাঁর চাকরির অধিকার নিশ্চিত হয়ে যায় না। তবে যদি শূন্যপদ থাকে এবং সংশ্লিষ্ট চাকরিপ্রার্থী যোগ্য হন, তাহলে সরকার নিয়োগ রুখতে পারে না।
আরও পড়ুনঃ ‘কেউ যেন জুলুম না করে, জুলুম করলে…’! এবার ব্যবসায়ীদের বিরাট পরামর্শ মমতার
২০০৮ সালে সরকারি চাকরির (Government Jobs) নিয়োগ প্রসঙ্গে কে মঞ্জুশ্রী বনাম অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার মামলায় সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে একটি রায় দেওয়া হয়েছিল। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়, নিয়োগ হয়ে যাওয়ার পর নিয়োগের মানদণ্ড কিংবা বিধি পরিবর্তন করা যায় না। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে এই মামলার রায় উল্লেখ করে তেজ প্রকাশ পাঠক বনাম রাজস্থান মামলার রায় শুনিয়েছিল শীর্ষ আদালত।
২০১৩ সালের ওই মামলায় ২০০৮ সালের রায়ে ত্রুটি ছিল বলে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়। এই নিয়েই সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি মনোজ মিশ্র, বিচারপতি হৃষীকেশ রায়, বিচারপতি পঙ্কজ মিত্তল এবং বিচারপতি পিএস নরসিংহের বেঞ্চ জানিয়ে দিল, ২০০৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায়ে কোনও গলদ ছিল না।