বাংলা হান্ট ডেস্ক: রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব যে শুধুমাত্র রাশিয়ান বিলিয়নেয়ারদের উপরই প্রভাব ফেলছে তা নয় বরং বিশ্বের একাধিক শীর্ষ ধনকুবেরদের উপরও প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে এর। স্বাভাবিকভাবেই, ইলন মাস্কও এই তালিকা থেকে বাদ যাননি। একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এই সঙ্কটের কারণে ইলন মাস্ক ২০০ বিলিয়ন ডলারের ক্লাব থেকেও বেরিয়ে গেছেন।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, রাশিয়া-ইউক্রেন বিরোধের প্রভাব বিশ্বের শেয়ারবাজার থেকে শুরু করে অপরিশোধিত তেলের বাজার পর্যন্ত স্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে। এখনই ব্রেন্ট ক্রুডের দাম বিগত আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ১০০ ডলার ছাড়িয়েছে। তবে, বিশ্বের বাজারের পাশাপাশি ধনকুবেররাও ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। যার প্রকৃষ্ঠ উদাহরণ হলেন ইলন মাস্ক। জানা গিয়েছে যে, গত বুধবারই ইলন মাস্কের সম্পদের পরিমাণ ১৩.৩ বিলিয়ন ডলার কমেছে।
এদিকে, এই পতনের পর, মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৯৮.৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। অর্থাৎ ২০০ বিলিয়ন ডলারের ক্লাব থেকেও তিনি বেরিয়ে গেছেন। তবে, মাত্র একদিনের ব্যবধানে এরকম বিশাল ক্ষতি শুধু ইলন মাস্ককেরই হয়নি, বরং অন্যান্য ধনী ব্যক্তিদের সম্পদকেও প্রভাবিত করেছে।
এমনিতেই ২০২২ সালের শুরুটা মাস্কের জন্য খুব একটা ভালো ছিল না। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে তার প্রায় ৭১.৭ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। তবে, এই বড় পতনের পরেও ইলন মাস্ক, ইলেকট্রিক গাড়ি টেসলা এবং স্পেসএক্সের মতো সংস্থাগুলির সিইও হওয়ার সুবাদে বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় প্রথমে রয়েছেন।
এদিকে, রাশিয়া-ইউক্রেনের বিরোধের কারণে, বিশ্বের শীর্ষ তিন বিলিয়নেয়ার ইলন মাস্ক, বার্নার্ড আর্নল্ট এবং জেফ বেজোসের মোট সম্পদ প্রায় ১.৫১ লক্ষ কোটি টাকা কমেছে। বিলিয়নেয়ার ইনডেক্স অনুসারে জানা গিয়েছে যে, জেফ বেজোস জানুয়ারি থেকে ২২.৯ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছেন। যেখানে বার্নার্ড আর্নল্ট এই সময়ের মধ্যে ২২.৫ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। পাশাপাশি, মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং বিশ্বের চতুর্থ ধনী বিল গেটস ১ জানুয়ারি থেকে ১৫.৭ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছেন।
এছাড়াও, ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার কারণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন রাশিয়ান ধনকুবেররাও। ২০২২ সালের শুরু থেকে ওই দেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের সম্পদের পরিমাণ ৩২ বিলিয়ন ডলার কমেছে। জানা গিয়েছে যে, ২৩ জন শীর্ষ বিলিয়নেয়ারের বর্তমানে ৩৪৩ বিলিয়ন ডলারের মোট সম্পদ রয়েছে, যা গত বছরের শেষে ৩৭৫ বিলিয়ন ডলার ছিল।