বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মঙ্গলবার নিজের করা একটি বক্তব্যে এলন মাস্ক জানান যে টুইটারের বর্তমান অধীশ্বর হওয়ার দরুন তিনি প্রাক্তন ইউএস প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর উপর থেকে ‘ব্যান’ সরিয়ে নেবেন। পূর্ববর্তী ঘটনা তথা ট্রাম্পকে টুইটার থেকে ‘ব্যান’ করার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ” এটি দেশের একটি বৃহৎ অংশকে দূরে ঠেলে দেওয়া”। ট্রাম্পের এমন একটি গ্লোবাল ম্যাসেজিং প্লাটফর্মে ফিরে আসার ঘটনা সমাজের এক্টিভিস্টদের মনে ভীতির সৃষ্টি করেছে যেন মাস্ক ” ঘৃণার প্রবেশদ্বার উন্মুক্ত” করছেন।
অন্যদিকে যদিও ট্রাম্প সর্বসমক্ষে জানিয়েছেন যে টুইটার থেকে ব্যান সরে গেলেও তিনি আর সেখানে ফিরবেন না এবং তিনি নিজের ব্যক্তিগত সোশ্যাল নেটওয়ার্কেই থাকতে পছন্দ করবেন। নিজের পরাজয়ের পর, ট্রাম্প সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম গুলিতে যেভাবে অশোভনীয় মন্তব্য করেন, তাতে তার সমর্থকরা সমগ্র দেশ জুড়ে কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি করে এবং আমেরিকার ক্যাপিটল আক্রমণ করে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি। যার ফলে একরকম বাধ্য হয়েই, টুইটার এবং সামগ্রিক সোশ্যাল প্লাটফর্ম থেকে তাকে বিতাড়িত করা হয়।
মাস্ক বলেন, “আমার মনে হয় এটি একটি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল কারণ বিশ্বের একটি বিশাল অংশ টুইটার থেকে অনেক দূরে চলে যায়, যার পরিণামে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে কথা বলার কোন সুযোগই দেওয়া হয় না”। অর্গানাইজেশনের ডিরেক্টর অ্যান্থনি রোমেরো মনে করেন, মাস্কের মতামত এই বিষয়ে একদম সঠিক। অন্যদিকে সমাজের অ্যাক্টিভিস্টরা ট্রাম্প ফিরে এলে টুইটার বয়কট করার দাবি পর্যন্ত পেশ করেন।
নাইট ফাউন্ডেশন প্রকাশ্যে এনেছে একটি সমীক্ষা যেখানে দেখা যায় ইউনাইটেড স্টেটস এর ৪১ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্করা মনে করেন সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে ব্যান করার মাধ্যমে তাকে তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। মুসলিম এডভোকেট সিনিয়র পলিসি কাউন্সিল সুমাইয়া ওয়াহেদ বলেন, ” ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্টের জন্য অনেক মানুষ মারা গেছে” তিনি আরও যোগ করেন, “আমি আশঙ্কিত মাস্ক এর তত্ত্বাবধানে আরো কি কি হতে চলেছে।”