থেমে নেই মাস্ক! টুইটারের পর এবার এই ব্যাঙ্কটি কিনতে চান ধনকুবের, কি জানালেন তিনি?

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই মার্কিন রেগুলেটরি সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্ককে (Silicon Valley Bank) তালাবন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে, এই খবরের প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে এক জল্পনার উদ্রেক ঘটেছে। মূলত, মনে করা হচ্ছিল যে, বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধনকুবের ইলন মাস্ক (Elon Musk) এবার এই ব্যাঙ্কটি কিনতে পারেন। এমতাবস্থায়, রেজারের সিইও-এর টুইটের প্রতিক্রিয়ায়, টেসলা (Tesla) এবং টুইটারের (Twitter) সিইও ইলন মাস্ক জানিয়েছেন যে, “আমি এই ধারণাটিকে স্বাগত জানাই।”

এমন পরিস্থিতিতে অনুমান করা হচ্ছে যে, ইলন মাস্ক সত্যিই এই ব্যাঙ্কটি কিনতে পারেন। মূলত, আমেরিকান গ্লোবাল গেমিং হার্ডওয়্যার নির্মাতা রেজারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও মিন লিয়াং টুইটারে লিখেছিলেন যে, টুইটারের সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্ককে কেনা উচিত। পাশাপাশি, সেটি কেনার পর ব্যাঙ্কটিকে ডিজিটাল ব্যাঙ্কে রূপান্তরিত করার বিষয়টিও জানান তিনি।

যার জবাবে ইলন মাস্ক লিখেছেন, “আমি আপনার ধারণাকে স্বাগত জানাই এবং আমি এটির জন্য ভাবনা উন্মুক্ত রেখেছি।” এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্ক আমেরিকার ১৬ তম বৃহত্তম ব্যাঙ্ক। পাশাপাশি, ওই ব্যাঙ্কের ২১০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ রয়েছে। তবে, বিগত দিন গুলিতে এই ব্যাঙ্কের আর্থিক অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতে থাকে।

এমতাবস্থায়, রেগুলেটার্সরা এটি বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। এদিকে, এই ব্যাঙ্কের দেউলিয়া হওয়ার ফলে সমগ্র বিশ্বের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে। গত শুক্রবার এর আভাস পাওয়া গেছে শেয়ার বাজারে। ইতিমধ্যেই আমেরিকাসহ বিশ্বের একাধিক বাজারে এই কারণে দরপতনও পরিলক্ষিত হয়েছে। এদিকে, ব্যাঙ্কের মূল কোম্পানি এসভিবি ফাইন্যান্সিয়াল গ্রুপের শেয়ারে গত ৯ মার্চ প্রায় ৬০ শতাংশ পতন ঘটে। এরপরই ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এদিকে, সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্কের পতন ২০০৮ সালের পর সবচেয়ে বড় ইউএস ব্যাঙ্কিং ব্যর্থতা হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি, অনেকে আবার এই পরিস্থিতিকে লেম্যান ব্রাদার্সের দেউলিয়া হওয়ার ঘটনার সাথেও তুলনা করছেন। ইতিমধ্যেই ক্যালিফোর্নিয়া ডিপার্টমেন্ট অফ ফাইন্যান্সিয়াল প্রোটেকশন অ্যান্ড ইনোভেশন এই ব্যাঙ্কের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর অপর্যাপ্ত নগদ এবং দেউলিয়ার কথা উল্লেখ করেছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর