বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। মূলত, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক ভারতে (India) একটি বড় সাফল্য অর্জন করেছেন। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ইলন মাস্কের কোম্পানি স্টারলিঙ্ক ভারতের টেলিকম মন্ত্রক থেকে লাইসেন্স পেয়েছে। বিষয়টির সাথে জ্ঞাত ব্যক্তিরা রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
ভারতে (India) লাইসেন্স পেল স্টারলিঙ্ক:
এদিকে, এই খবর এমন একটি সময় সামনে এসেছে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে মাস্কের দ্বন্দ্বের বিষয়টি রীতিমত সরগরম হয়ে উঠেছে। উল্লেখ্য যে, এই লাইসেন্স প্রাপ্তির মাধ্যমে, স্যাটেলাইট ইন্টারনেট প্রদানকারী স্টারলিঙ্ক ভারতে (India) একটি বড় বাধা অতিক্রম করেছে এবং এই দেশে তার কার্যক্রম বাণিজ্যিকভাবে চালু করার আরও কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে।
লাইসেন্স পাওয়া তৃতীয় কোম্পানি: জানিয়ে রাখি যে স্টারলিঙ্ক ভারতের (India) ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকমিউনিকেশন (DoT) থেকে লাইসেন্স পাওয়া তৃতীয় কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। এর আগে, সংশ্লিষ্ট বিভাগ ইউটেলস্যাটের ওয়ানওয়েব এবং রিলায়েন্স জিওকে ভারতে পরিষেবা প্রদানের জন্য লাইসেন্স দিয়েছে। যদিও, এই লাইসেন্সের প্রসঙ্গে স্টারলিঙ্ক এবং DoT উভয়ই কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। উল্লেখ্য যে, স্টারলিঙ্ক ২০২২ সাল থেকে ভারতে কমার্শিয়ালি অপারেট করার জন্য লাইসেন্সের অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগ সহ বেশ কয়েকটি কারণে এটি বিলম্বিত হয়েছে। তবে, অ্যামাজনের কুইপার এখনও ভারতে লাইসেন্সের অপেক্ষায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: যার কারণে রোহিত শর্মা ২০১১-র বিশ্বকাপ খেলতে পারেননি! ভারতের সেই তারকা ক্রিকেটারই নিলেন অবসর
শীঘ্রই কোম্পানিকে ট্রায়াল স্পেকট্রাম দেওয়া হবে: জানা গিয়েছে যে, ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকমিউনিকেশন (DoT) ইলন মাস্কের কোম্পানি স্টারলিঙ্ককে গ্লোবাল মোবাইল পার্সোনাল কমিউনিকেশন বাই স্যাটেলাইট (GMPCS) পারমিট প্রদান করেছে। এছাড়াও, আগামী দিনে কোম্পানিকে ট্রায়াল স্পেকট্রাম দেওয়া হবে। স্পেকট্রাম বরাদ্দের পর, কোম্পানিটিকে ভারত (India) সরকারের কাছে নিরাপত্তা শর্তাবলী সহ সমস্ত সম্মতি প্রদর্শন করতে হবে।
আরও পড়ুন: চুল পড়া কিংবা ত্বকের সমস্যা নিয়ে আর নেই চিন্তা! সমাধান নিয়ে হাজির Kakimar Hair & Skin Care
জানিয়ে রাখি যে, স্টারলিঙ্ককে স্পেস রেগুলেটর ইন্ডিয়ান ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল স্পেস প্রমোশন অ্যান্ড অথরাইজেশন সেন্টার (IN-SPACe) থেকেও অনুমোদন নিতে হবে। কোম্পানিটি ইতিমধ্যেই ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য সমস্ত বিবরণ সরবরাহ করেছে। কিন্তু, এক্ষেত্রে এখনও অনুমোদন পাওয়া যায়নি। ইকোনমিক টাইমসের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে (India) স্টারলিঙ্কের বাণিজ্যিক পরিষেবা চালু করা নির্ভর করবে কোম্পানির নিরাপত্তা শর্তাবলী মেনে চলার সফল প্রদর্শনের ওপর।
দেখুন গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও:
Made in India