একদিকে যখন ভারতের (India) ধীরে ধীরে উত্থান শুরু হয়েছে, তখন অন্যদিকে পাকিস্তানের (Pakistan) পতন তীব্র হতে শুরু হয়েছে। পাকিস্তানের আর্থিক ব্যাবস্থা সম্পূর্ণরূপে ধসে গেছে। যদি পাক সরকার সেটা ধামাচাপা দেওয়ার ভরপুর প্রয়াস চালাচ্ছে। ভারতের সাথে সম্পর্ক খারাপ থাকার কারণে পাকিস্তানে সবজির মূল্যও আকাশ ছুঁয়ে গেছে। এর মধ্যে আরো একটা খবর পাকিস্তান থেকে সামনে আসছে। আসলে পাকিস্তানের সামনে এখন বড়ো সমস্যা পঙ্গপাল। প্রায় লক্ষ লক্ষ পঙ্গপাল পোকা (locust swarms) পাকিস্তানের (Pakistan) সিন্ধুপ্রদেশে জমা হয়েছে। সিন্ধুপ্রদেশে শস্য ক্ষেত্র নিমেষের মধ্যে নষ্ট করছে এই পঙ্গপালের বিশেষ দল। পঙ্গপালকে নিয়ে সমস্যা পাকিস্তানে আগেও ছিল তবে এত বড়ো সংখ্যায় পঙ্গপাল আক্রমন পাকিস্তানে কখনো হয়নি।
এমনিতেই পাকিস্তান খাদ্য সংকট ও আর্থিক দুর্বলতায় ভুগছে। এর মধ্যে পঙ্গপালের আক্রমন কাটা ঘাঁয়ে নুন দেওয়ার মতো কাজ করছে। দূর থেকে বিষয়টি গম্ভীর মনে না হলেও পঙ্গপালের আক্রমণে পাকিস্তানের সরকার পর্যন্ত ভয়ভীতি হয়ে পড়েছে। ইমরান খানের সরকার পাকিস্তানে এমারর্জেন্সি (national emergency)পর্যন্ত লাগু করে দিয়েছে। পাকিস্তান ভয়ঙ্কর দুর্ভিক্ষ মহামারী হওয়ার আশঙ্কাও করা হচ্ছে।
পঙ্গপালের আক্রমন হতে পারে এর আভাস আগেই ছিল পাকিস্তানের কাছে। পাকিস্তানের কৃষকরা এর জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছিলেন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। কিন্তু টাকার অভাবে পাকিস্তানের সরকার আগে থেকে পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হয়নি। তাই এখন পাক সরকার জাতীয় জরুরী অবস্থা লাগু করেছে। পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডনের খবর অনুযায়ী, ইমরান খান রাজ্য সরকারগুলিকে ক্রমবর্ধমান খাদ্যের দাম এবং সংগ্রহের উপর নিয়ন্ত্রণ আনার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এদিকে আবার খাইবার পাখতুনখোয়াতে ঢাবা ও রেস্তোঁরা মালিকরা সোমবার থেকে ধর্মঘটে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন। রেস্তোঁরা সঞ্চালকদের অ্যাসোসিয়েশন সরকারকে পুরাতন হারে আটা ময়দা সরবরাহ করতে বা তাদের নান ও রোটির দাম বাড়ানোর অনুমতি দেওয়ার জন্য বলেছে। ময়দার দাম কমানোর জন্য তারা ইমরান খান সরকারকে ১০ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন।