বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ মোহনবাগান (Mohun Bagan) সমর্থকরা এই মুহূর্তে অত্যন্ত আনন্দিত। তাদের প্রিয় দল আইএসএল জিতেছে। এএফসি কাপের জন্য যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেছে। আর কিছুদিনের মধ্যেই গত তিন বছর ধরে গলায় কাঁটার মতো বিঁধে থাকা এটিকে উঠে গিয়ে নামের পেছনে বসতে চলেছে সুপার জায়ান্টস। সেইসঙ্গে এবার আইপিএলেও খুব শীঘ্রই সবুজ মেরুণ জার্সি পরিহিত একটি দলকে এক ম্যাচের জন্য দেখতে পাবেন তারা।
তাদের এই সমস্ত খুশিকে আরও দ্বিগুণ করে দিয়েছে একটি সংবাদ। ক্রীড়া সংগঠক শতদ্রু দত্তের উদ্যোগে আগামী জুলাইয়ে মোহনবাগান তাঁবুতে পা রাখতে চলেছেন গত বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে ট্রফি এনে দেওয়া গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। বদলে তিনি নিজে কোনও পয়সা নিচ্ছেন না। তবে তিনি যে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তাদেরকে কিছু সাহায্য করতে হয়েছে শতদ্রু বাবুকে। ইতিমধ্যেই ক্লাবের জন্য একটি সই করা ফুটবল এবং মোহনবাগান জার্সি উপহার পাঠিয়েছেন তিনি।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৪ ঠা জুলাই মোহনবাগান ক্লাব তাবুতে পদার্পণ করবেন টাটকা বিশ্বকাপ জয়ী তারকা। ক্লাবের ট্রফি রুম পরিদর্শনের পাশাপাশি একটি প্রদর্শনী ম্যাচেও উপস্থিত থাকতে পারেন এমি। মোহনবাগান ক্লাবের পাশাপাশি তিনি শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবে যাবেন এবং সেখানে গিয়ে মারাদোনার মূর্তিতে মালাও দেবেন। সেই সঙ্গে আরও দুটি বড় ব্যাপার হতে পারে যা শুনে ফুটবল প্রেমীরা চমকে উঠেছেন।
আর্জেন্টাইন সমর্থকদের প্রিয় দিবু সাক্ষাৎ করতে পারেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে। মমতা ব্যানার্জি নিজে বারংবার জানিয়েছেন যে তিনি ল্যাটিন আমেরিকান ফুটবল দলগুলোর ভক্ত এবং আর্জেন্টিনার খেলা দেখতে ভালোবাসেন। ক্ষমতায় আসার পর পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অংশে নীল সাদা রঙ করে নিন্দুকদের কাছ থেকে পশ্চিমবঙ্গকে আর্জেন্টিনা বানানোর ব্যঙ্গক্তিও শুনতে হয়েছে তাকে বারংবার। কিন্তু এবার সত্যিই শতদ্রু দত্তের পোস্ট করা ভিডিও বার্তায় এমি মার্টিনেজের মুখে শোনা গেল মমতা ব্যানার্জির নাম এবং তিনি যে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে উৎসুক হয়ে রয়েছেন সেটাও উল্লেখ করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে তাকে দিদি বলে সম্বোধন করে তার জন্য একজোড়া সই করা গ্লাভস উপহার পাঠিয়েছেন মার্টিনেজ।
এখানেই শেষ নয়। আরও একটি ভিডিও বার্তায় দেখা দিয়েছে যে সৌরভকে অভিবাদন জানাচ্ছেন আর্জেন্টিনার তারকা গোলকিপার। বর্তমানে দিল্লি ক্যাপিটালসের ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট হিসেবে নিযুক্ত থাকা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে, দিবু দাদা বলে সম্বোধন করছেন এবং তারপর জানাচ্ছেন যে তিনি আর অপেক্ষা করতে পারছেন না যে কখন তার সঙ্গে দেখা করবেন এবং তার কাছ থেকে একটু ক্রিকেটের বিষয়ে টিপস নেবেন।