বাংলাহান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের বড় কাঁটা নেতাদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহুবার বলেছেন, “জনসমর্থন জনগণের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। মাথা নিচু করে আমাদের মানুষের কাজ করতে হবে।” কিন্তু বাস্তব তো এটাই, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ কথা বললেও দলের নিচতলা থেকে শুরু করে নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক অনেকেই দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হচ্ছেন বারবার ।
ইতিমধ্যেই এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে চলছে মামলা। এরপর আবার বাংলার ব্যাঙ্কেও নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। মঙ্গলবার হাাই কোর্টে রাজ্যের একটি কো- অপারেটিভ ব্যাঙ্কের নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তমলুক-ঘাটাল সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে বিভিন্ন বিভাগে ১৩৪ জন কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে যথাযথ অনুমোদন ছাড়াই।
এই অভিযোগকে ভিত্তি করে মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন বিজেপি নেতা আশিস মণ্ডল। তাঁর অভিযোগ, নিয়োগের কোনো আইন না মেনেই ব্যাঙ্কের গ্রুপ-এ, বি এবং সি বিভাগে যে ১৩৪ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। কো-অপারেটিভ সার্ভিস কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে কর্মী নিয়োগ করা হয়। কিন্তু এই নিয়োগ সার্ভিস কমিশনের কোনও সুপারিশ ছাড়াই করা হয়েছে।
মঙ্গলবার মামলাটি প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে ওঠে। সেখান থেকে মামলায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান এবং সেক্রেটারিকে একটি পক্ষ করার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। বলা হয়েছে, তাদের মাধ্যমেই বেআইনি ভাবে নিযুক্ত ১৩৪ জনকেও ওই মামলার পক্ষ হিসেবে গণ্য করা হবে। আগামী ২ আগস্ট মামলাটির পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা।
আশিসের আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘শুধু এই ব্যাঙ্কে নয়। রাজ্যের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে এই ধরনের বেআইনি নিয়োগ করা হয়েছে।পাশাপাশি স্কুল ও যেকোনো সরকারি এরকম নিয়োগে দুর্নীতি হচ্ছে।’