বাংলাহান্ট ডেস্ক: ‘ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা’, ভাইফোঁটার (Bhaiphonta) দিনের অত্যন্ত চেনা ছড়া। এই ছড়া কাটতেই কাটতেই ভাই বা দাদার কপালে ফোঁটা দেয় দিদি, বোনেরা। কিন্তু ছড়ায় একটু অদল বদল করে বোন বা দিদিদেরও তো ফোঁটা দেওয়া যায়। গত কয়েক বছর ধরেই শুরু হয়েছে এই চল। অভিনেত্রী এনা সাহাও (Ena Saha) নিজের ভাই, বোন সবাইকে ফোঁটা দেন।
ভাইফোঁটার পুণ্য তিথিতে আমজনতা সহ তারকাদের বাড়িতেও চলছে অনুষ্ঠান। এনা অবশ্য বুধবারেই ফোঁটার অনুষ্ঠান সেরে নিয়েছেন। নিজের বোন ডোনা ছাড়াও দুই তুতো ভাই রয়েছে অভিনেত্রীর। ভাইদের ভাইফোঁটা দেওয়া ছাড়াও বোনকে বোনফোঁটাও দেন তিনি। পাশাপাশি আরো এক ভাই আসেন এনার। তিনি অভিনেতা আর্য।
এনা বলেন, ভাই বোন নির্বিশেষে সমস্ত কাছের মানুষদেরই সুরক্ষার জন্য ফোঁটা দেওয়া যেতেই পারে। তাই তাঁর বাড়িতে ভাইফোঁটার সঙ্গে সঙ্গে বোনফোঁটাও পালন করা হয়। এই বিশেষ দিনটায় জমজমাট হয়ে থাকে এনার বাড়ি। খাওয়া দাওয়া তো হয়ই, সেই সঙ্গে জমাটি আড্ডা, গান বাজনা, উপহারের বন্দোবস্তও থাকে। যদিও বয়সে সবার বড় বলে উপহার মূলত এনাকেই দিতে হয়।
বিশেষ করে তিনি মিষ্টিপ্রেমী বলে অতিথিদের মিষ্টিমুখের কোনো কমতি থাকে না। তবে এ বছরে সমস্ত নিরামিষ পদই হয়েছিল ফোঁটার অনুষ্ঠানে। কারণ এদিন এনার বাড়িতে ছিল পুজো। নয়তো অন্যবার আমিষ খাবার দাবারেরই আয়োজন করা হয়।
প্রসঙ্গত, এনাকে শেষবার দেখা গিয়েছিল ‘চিনেবাদাম’ ছবিতে। যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে প্রথম বার জুটি বেঁধেছিলেন তিনি। কিন্তু সে ছবির অভিজ্ঞতা বিশেষ সুখের হয়নি। বিচিত্র কারণ দেখিয়ে ছবি মুক্তির কিছুদিন আগে প্রচার থেকে সরে যান যশ।
সাংবাদিক সম্মেলনে কেঁদে ফেলেছিলেন এনা। যশের সরে যাওয়া নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয়েছিল সেবার। একা এনা যতটা পেরেছিলেন প্রচার পর্ব সামলানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। বক্স অফিসে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছিল চিনেবাদাম।