বাংলা হান্ট ডেস্ক : পুলিসি এনকাউন্টারে মৃত আতিক আহমেদের (Atiq Ahmed) ছেলে আসাদ আহমদ। এরই সঙ্গে এনকাউন্টার করা হয়েছে গুলাম আহমদকেও। উত্তরপ্রদেশ স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (UP STF) এই এনকাউন্টার করেছে বলে জানা যাচ্ছে।
২০০৫ সালে বহুজন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ রাজু পাল খুনের অন্যতম সাক্ষী ছিলেন উমেশ। ২০০৬ সালে এই উমেশকেই অপহরণ করা হয়। সেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন আতিক। সম্প্রতি, সেই অপহরণের মামলায় আতিক ও আরও দু’জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় প্রয়াগরাজ আদালত।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি নিজের বাড়ির সামনেই খুন হন উমেশ। গুলিবিদ্ধ হন তাঁর দুই দেহরক্ষীও। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁদের। উমেশ হত্যাকাণ্ডে পুলিস এর আগেও বেশ কয়েকজন গ্রেফতার করেছে। পুলিসের হাত থেকে পালাতে গিয়ে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে দুই অভিযুক্তের।
কয়েক দিন আগেই গ্যাংস্টার-রাজনীতিবিদ আতিক আহমেদের (Atiq Ahmed) শ্যালক আখলাককে গ্রেফতার করে পুলিস। গত ফেব্রুয়ারি মাসে নিজের বাড়ির সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হন উমেশ পাল। সেই ঘটনায় আতিকের যোগ রয়েছে বলে পুলিসের অনুমান। একা আতিক নন, তাঁর বেশ কয়েকজন কাছের মানুষও জড়িত বলে পুলিস তদন্তে জানতে পারে।
তাদের মধ্যেই ছিল আখলাক। এর আগেও পুলিস তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পুলিস সূত্রে খবর, উমেশ পাল হত্যাকাণ্ডে আখলাকের বিরুদ্ধে একাধিক তথ্য প্রমাণ মিলেছে। সেই সূত্র ধরেই উত্তরপ্রদেশ পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গ্রেফতার করে তাকে। অভিযোগ, শ্যুটারদের টাকা দিয়েছিল সে।
এই মামলায় আজ আতিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রয়াগরাজ নিয়ে আসা হয়। এরপরই তাঁর উপর দায়ের করা হয় টাকা হাওলা করার অভিযোগও। আর এই অভিযোগের অভিযান চালাল কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি (ED)। জানা যাচ্ছে, প্রাক্তন বিএসপি বিধায়ক (BSP MLA) আসিফ জাফরি সহ আরও ১৫ জন ব্যবসায়ীর ঠিকানায় এদিন হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।