বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই (BCCI) ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ১১৫৯ কোটি টাকা আয়কর দিয়েছে। এর আগের অর্থবর্ষের আয়করের তুলনায় ৩৭ শতাংশ বেশি। রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে, অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী বিসিসিআই কর্তৃক জমা দেওয়া আয়কর এবং ফেরত পাওয়া টাকার ভিত্তিতে গত পাঁচ বছরের আয় ও ব্যয়ের বিবরণ প্রকাশ করেছেন।
বেড়েছে করের পরিমাণ: ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ৮৪৪.৯২ কোটি টাকা আয়কর প্রদান করেছে। এটি ছিলো ২০১৯-২০ জমা দেওয়া আয়করের চেয়ে অনেকটাই বেশি। কিন্তু এই বছর যে সেই মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে, এমনটা কেউ আশা করেননি। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কর হিসাবে ৮১৫.০৮ কোটি টাকা কর হিসাবে দিয়েছিল। আর তার আগের বছর অর্থাৎ ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে জমা দেওয়া ৫৯৬.৬৩ কোটি টাকার চেয়ে অনেকটাই বেশি।
এরপরে খুব স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে যে বিসিসিআইকে যদি এই বিশাল মূল্যের ট্যাক্স প্রদান করতে হয়, তাহলে তাদের এই অর্থবর্ষে রোজগার কেমন হয়েছে। এই প্রশ্নের জবাবও পাওয়া গিয়েছে। এই অর্থবর্ষে বিসিসিআইয়ের রোজগার এতটাই বেশি হয়েছে যে সেই টাকার অঙ্কের পরিমাণ মাথা ঘুরিয়ে দেবে আপনার।
মোট রোজগার কত?
বিসিসিআই ২০২১-২২ অর্থবর্ষে মোট ৭৬০৬ কোটি টাকা রোজগার করেছে। আর গোটা বছরে বিসিসিআইয়ের মোট খরচ হয়েছে ৩০৬৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ কি বিশাল পরিমাণে লাভ হয়েছে সৌরভ জমানার শেষদিকে, তা আর আলাদা করে বলে বোঝানোর প্রয়োজন নেই। গত বছর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দায়িত্ব ছাড়লেও আর্থিক দিক দিয়ে তিনি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে যথেষ্ট লাভবান হতে সাহায্য করেছেন। অন্যান্য ক্রিকেট বোর্ডের রোজগার এই পরিমাণ অর্থের ধারেকাছেও আসে না।
আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি: যদি বিসিসিআইয়ের বিগত অর্থবর্ষের রোজগারের সঙ্গে ২০২১-২২ অর্থবর্ষের রোজগার তুলনা করা হয় তাহলে দেখা যাবে যে তারা আগের বছর রোজগার করেছিল ৪৭৩৫ কোটি টাকা। কিন্তু তাদের খরচ করতে হয়েছিল মোট ৩০৮০ টাকা। অর্থাৎ তুলনামূলকভাবে বেশ কিছুটা কম টাকাই সেবার বিসিসিআইয়ের হাতে বেঁচে ছিল। কিন্তু সৌরভ জমানার শেষ থেকে লাভের চেহারাটা পুরো বদলে গিয়েছিল।