বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: প্রায় চার শতক পর, ক্যারিবিয়ান দ্বীপ বার্বাডোসে ঘটলো বৃটিশ রাজতন্ত্রের অবসান। বিশ্বের আরও একটি নতুন প্রজাতন্ত্রের জন্ম হলো সোমবার মধ্যরাতে। একটি হস্তান্তর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলো। ঘড়ির কাঁটায় মধ্যরাত্রির ঘন্টা বাজার সাথে সাথে, রানীর প্রতিনিধিত্বকারী রয়্যাল স্ট্যান্ডার্ড পতাকাটি ব্রিজটাউনের জনাকীর্ণ হিরোস স্কোয়ারে অবনমিত করে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে জাতীয় সংস্কৃতি বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যারল রবার্টস-রেফার বার্বাডোসেকে নতুন সাংবিধানিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। দেশের প্রধান বিচারপতি কর্তৃক ডেম স্যান্ড্রা ম্যাসন রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নেয়ার সময় দেশের প্রতি আনুগত্য জানিয়ে সেই স্থানে উপস্থিত অতিথিরা করতালি জানিয়ে অভিবাদন জানায়। ওখানে সারিবদ্ধ জনতা আনন্দ প্রকাশ করতে থাকেন এবং সেদেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর সাথে সাথে ২১ টি বন্দুকের দ্বারা তাদের গান স্যালুট জানানো হয়। ওই অনুষ্ঠানের অন্যতম বড় আকর্ষণ ছিলেন বার্বাডিয়ান গায়িকা রিহানা। তাকে সেই অনুষ্ঠানে জাতীয় নায়ক হিসেবে বরণ করে নেওয়া হয়।
রিপাবলিক বার্বাডোসের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসাবে ম্যাসন দেসের তার উদ্বোধনী বক্তৃতায় বলেছেন, “জটিল, ভঙ্গুর এবং শান্তিহীন বিশ্বের মাঝে বার্বাডোসকে সঠিক দিশায় পরিচালনা করতে হবে। আমাদের দেশকে নিয়ে অবশ্যই বড় স্বপ্ন দেখতে হবে এবং সেগুলি বাস্তবায়নের জন্য লড়াই করতে হবে ”।
সেই হস্তান্তর অনুষ্ঠানের সময় উপস্থিত ছিলেন প্রিন্স চার্লস। যদিও তা নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না অনেক জনগণ। তার উপস্থিতি নিয়ে একটি প্রতিবাদ মিছিল হওয়ার কথা থাকলেও অতিমারীর কারণে অনুমতি দেওয়া হয়নি। পুরোনো অতীতে ঝেড়ে ফেলে এক নতুন সূর্যোদয়ের অপেক্ষায় বার্বাডোস।