বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল বিজেপির (Bharatiya Janata Party) সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) কথা। হাওড়া এবং কলকাতা শহরে ইডির বৃহত্তর অভিযান প্রসঙ্গে গতকালই মন্তব্য প্রকাশ করেন দিলীপবাবু আর সেই সূত্র ধরে এদিন সকাল হতেই কলকাতার (Kolkata) একাধিক প্রান্তে শুরু হলো ইডির (Enforcement Directorate) তল্লাশি অভিযান। ইতিমধ্যেই সল্টলেকে (Saltlake) এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়েছে তদন্তকারী অফিসাররা। এক্ষেত্রে তল্লাশির কারণ প্রসঙ্গে জানা না গেলেও ব্যবসায়ীর বাড়ি এবং অফিসে পর্যন্ত তল্লাশি চালাচ্ছে তারা।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এদিন সকাল হতে মোট চারটি ভাগে বিভক্ত হয়ে রওনা দেয় ইডি অফিসাররা। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে দুটি দল সল্টলেকের যোধপুর পার্ক এবং নোনাপুকুর এলাকায় পৌঁছে যায়। উক্ত দুটি স্থানে ব্যবসায়ী অমিত আগারওয়ালের বাড়ি এবং তাঁর অফিস রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ডের ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে সেনাবাহিনীর জমি দখল করার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, এর আগেও একাধিকবার অমিতের বাড়িতে পৌঁছে যায় ইডি। তবে এদিন সকাল হতে কি কারণে এই তল্লাশি অভিযান, সে প্রসঙ্গে এখনো পর্যন্ত কোনো স্পষ্ট ধারণা মেলেনি।
এর মাঝেই আবার অপর একটি তদন্তকারী দল পৌঁছে গিয়েছে গড়িয়াহাটে। এক্ষেত্রে আরো বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা চালানো হবে বলে খবর। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বাংলা এবং ঝাড়খণ্ড মিলিয়ে রাজ্যের মোট ১২ টি প্রান্তে এদিন তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
প্রসঙ্গত, গতকাল ইডি অভিযান প্রসঙ্গে মন্তব্য প্রকাশ করেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “এ সপ্তাহের মধ্যে কলকাতা এবং হাওড়ায় ইডির বৃহত্তর অভিযান হতে চলেছে” আর তার ঠিক পরের দিন তাদের এই অভিযান ঘিরে ইতিমধ্যে একাধিক জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রসঙ্গে এদিন দিলীপবাবুকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “তল্লাশি অভিযান চলছে। আরো অনেক মানুষকে গ্রেফতার করা হবে। অভিযুক্তদের যদি ধরা না হয়, তাহলে বাংলার মানুষ হতাশ হয়ে পড়বেন।”