বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তিনি। রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে জেলের চার দেওয়ালের মধ্যে দিন কাটছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick)। একাধিকবার জামিনের আবেদন জানিয়েও সুরাহা হয়নি। এবার তাঁর জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানিতেই বিস্ফোরক সব অভিযোগ আনল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)।
বালুর (Jyotipriya Mallick) বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ আনল ইডি?
দুর্নীতি কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে এই রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েটের। তবে ইতিমধ্যেই তাঁদের মধ্যে অনেকে জামিনও পেয়ে গিয়েছেন। গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডল পুজো আগে বাড়ি ফিরেছেন। এমনকি রেশন দুর্নীতিতে (Ration Scam) গ্রেফতার হওয়া বাকিবুর রহমানেরও জেলমুক্তি হয়েছে। তবে কপাল খোলেনি প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়র।
শনিবার বালুর (Jyotipriya Mallick) জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনে ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির তরফ থেকে তাঁকে ‘দুর্নীতির গঙ্গাসাগর’ বলে উল্লেখ করা হয়। ইডির আইনজীবী বলেন, রেশন দুর্নীতি পরিচালনা করতেন প্রাক্তন মন্ত্রীই।
আরও পড়ুনঃ ‘কাকু’র ‘অত্যাচারে’ অতীষ্ঠ? সুজয়কৃষ্ণকে আর হেফাজতে চাইল না CBI! কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবিতে তোলপাড়
ইডির (ED) কথায়, ‘গঙ্গা যেমন সব কিছু সমুদ্রে নিয়ে গিয়ে ফেলে, ঠিক সেইভাবেই রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের সব লিঙ্ক গিয়ে জুড়েছে জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে’। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই মামলার তদন্তে নেমে দেখা গিয়েছে, দুর্নীতির টাকা যে সকল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং ভুয়ো সংস্থায় গিয়েছে, সেই সবকিছুই প্রাক্তন মন্ত্রীর দিকে ইঙ্গিত করছে। ইডির তরফ থেকে জ্যোতিপ্রিয়কেই কার্যত মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। দাবি করা হয়, সামনে না এসে নেপথ্যে থেকে দুর্নীতির সব টাকা আত্মসাৎ করেছেন বালু।
উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে একাধিকবার জামিনের আবেদন জানিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়। শারীরিক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করেও বহুবার জামিনের আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তবে প্রত্যেকবারই ইডির তরফ থেকে আপত্তি জানানো হয়েছে। এই নিয়ে বিস্তর জলঘোলাও হয়েছিল।
এদিন ফের বালুর (Jyotipriya Mallick) জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে আদালতে বিরোধিতা করল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। প্রাক্তন মন্ত্রীকে ‘দুর্নীতির গঙ্গাসাগর’ আখ্যাও দিল তদন্তকারী সংস্থা। এর ফলে কি আরও চার বাড়ল জ্যোতিপ্রিয়র? প্রাক্তন মন্ত্রীর জামিন পাওয়া কি আরও কঠিন হয়ে গেল? সময়ই দেবে সেই উত্তর।