বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের হাতে হাতকড়া পরেছে বেশ কয়েকদিন হয়ে গেল। বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে দিন কাটছে তাঁর। আর্থিক দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন সন্দীপ ঘোষ। এবার তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়িতে হানা দিয়ে বিস্ফোরক তথ্য পেল ইডি (Enforcement Directorate)!
কী পেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (Enforcement Directorate)?
সন্দীপ গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন ইডি (ED) আধিকারিকরা। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের বেলেঘাটার বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি তাঁর শ্বশুরবাড়িতেও হাজির হন গোয়েন্দারা। সন্দীপের শ্যালিকার বাড়িতেও উপস্থিত হয়েছিলেন তাঁরা। জানা যাচ্ছে, সেই তল্লাশি অভিযানে প্রচুর নথি উদ্ধারের পাশপাশি প্রসূন চট্টোপাধ্যায় নামের এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
- ‘এক্সেল শিট’ ভর্তি শুধু টাকার হিসেব!
একইসঙ্গে এই তল্লাশি অভিযানে উদ্ধার হয় একটি ল্যাপটপ। জানা যাচ্ছে, সন্দীপের বেলেঘাটার বাড়িতে হানা দিয়ে এই ল্যাপটপ পাওয়া যায়নি। সেটি সন্দীপের এক আত্মীয়ের বাড়িতে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ইডি (Enforcement Directorate) সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হল না! সন্দীপের সেই ল্যাপটপ ঠিক উদ্ধার করে ফেলল কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা।
আরও পড়ুনঃ বিজেপি নেতা খুনের তদন্তে নয়া মোড়! ময়নার ৯ জায়গায় NIA হানা, তোলপাড় রাজ্য
সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, আরজি কর মামলায় ইডির বড় অস্ত্র হতে পারে সন্দীপের (Sandip Ghosh) এই ল্যাপটপ। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের এক আত্মীয়ের বাড়িতে হানা দিয়ে উদ্ধার হয়েছে সেটি। ইতিমধ্যেই তা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, এই ল্যাপটপের মধ্যেই দুর্নীতির নানান তথ্য রয়েছে।
সূত্রের খবর, বাজেয়াপ্ত করা এই ল্যাপটপে টেন্ডার সম্বন্ধিত নথি আছে। একইসঙ্গে এক্সেল ফাইলে আছে প্রচুর টাকার হিসেব। সেখানে কী কী ইমেল এসেছে এবং কী কী ইমেল পাঠানো হয়েছে সেটাও ঘেঁটে দেখা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় এজেন্সির আশঙ্কা, ল্যাপটপ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ডিলিট করে দেওয়া হতে পারে। সত্যিই কিছু ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। ইডির (Enforcement Directorate) তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, তদন্তে নেমে তাঁরা জরুরি ডিজিটাল নথি পেয়েছে।
উল্লেখ্য, সন্দীপ ঘোষ আরজি করের অধ্যক্ষ থাকাকালীন সেখানে প্রচুর দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। গত আগস্ট মাসে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ, খুনের ঘটনার পর ফের একবার এই ইস্যু মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট অবধি। আদালতের তরফ থেকে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার কয়েকদিনের মাথাতেই গ্রেফতার করা হয় সন্দীপকে।