বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত মার্চ মাসেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়িতে হানা দিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। প্রায় ১৪ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল টাকার পাহাড়। তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে মিলেছিল প্রায় ৪১ লাখ টাকা। সেই সময়ই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল চন্দ্রনাথের (Chandranath Sinha) ফোন। এবার সেটিকে খুলল কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
গত মাসে চন্দ্রনাথের বোলপুরের বাড়িতে হাজির হন ইডি (ED) আধিকারিকরা। মন্ত্রী সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না। পরে খবর দেওয়া হলে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। দীর্ঘক্ষণ তল্লাশির পর বাজেয়াপ্ত করা হয় তৃণমূল (TMC) নেতার ফোন। এরপর সেটিকে সিএফএসএলে পরীক্ষা জন্য পাঠানো হয়। তবে জানা যাচ্ছে, সেটিকে আনলক করতে খানিক সমস্যা হচ্ছিল। অবশেষে সেই ‘সমস্যা’র সমাধান হল।
ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, চন্দ্রনাথের মোবাইলে এমন পাসওয়ার্ড ছিল যা খুলতে বেগ পেতে হচ্ছিল তাঁদের। যে কারণে মন্ত্রীকে ডেকে পাঠানো হয়। তবে তিনি নিজে না এসে একজন প্রতিনিধিকে পাঠান। মন্ত্রীর পাঠানো সেই প্রতিনিধিই এবার তাঁর ফোন আনলক করে দিলেন।
আরও পড়ুনঃ ‘শ্যামবাজারের এক বাড়িতে ভাইপো, পিকে সহ চারজন তার পা ধরেছিলেন’, বিস্ফোরক শুভেন্দু
চন্দ্রনাথের ফোন খুলে যাওয়ায় তদন্তকারীদের অনুমান, এবার অনেক জরুরি তথ্য সামনে আসতে পারে। মন্ত্রীর চ্যাট হিস্ট্রিতেও গোয়েন্দাদের নজর রয়েছে বলে খবর। এতদিন ফোন আনলক করতে না পারায় যে সকল তথ্য অধরা ছিল, তা এবার হাতে আসতে পারে বলে মনে করছে ইডি। ফলে পর্দা উঠতে পারে অনেক অজানা ‘রহস্য’ থেকে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। একাধিক ‘হেভিওয়েটে’র নাম জড়িয়েছে এই মামলায়। জানা যাচ্ছে, টাকার বিনিময়ে যে সকল চাকরিপ্রার্থীকে চাকরির আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল তাঁদের মুখ থেকেই রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথের নাম পান তদন্তকারীরা।
অতীতে এই মামলায় কুন্তল ঘোষ, প্রসন্ন রায়ের মতো একাধিক ‘মিডল ম্যানে’র নাম উঠে এসেছিল। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই দু’জনের বাড়ি থেকে বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থীদের নাম পাওয়া গিয়েছিল। এরপর জানা যায়, এমন কিছু চাকরিপ্রার্থীকে কুন্তল, প্রসন্নের কাছে পাঠিয়েছিলেন চন্দ্রনাথ। সেই সূত্রেই রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মন্ত্রীর বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। এবার আনলক করা হল তাঁর ফোন। তদন্তকারীদের হাতে এবার কোনও তথ্যপ্রমাণ উঠে আসে কিনা সেটাই দেখার।