বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে উঠে এসেছিল তাঁর নাম। সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তথা ইডি। তবে এর মাঝে পরপর ঘটে যায় একগুচ্ছ ঘটনা। আচমকাই বদলে যায় তদন্তের মোড়। ইডি পেটানো থেকে শুরু করে নারী নির্যাতন, একাধিক অভিযোগ উঠতে শুরু করে এই সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার শাহজাহানের সিবিআই (CBI) হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। আজ আদালতে পেশ করা হবে তাঁকে। তবে শোনা যাচ্ছে, সিবিআই হেফাজত শেষের দিনই নতুন করে বিপাকে পড়তে পারেন সন্দেশখালির এই দাপুটে নেতা। কারণ এবার তাঁকে হেফাজতে চাইতে পারে ইডি (Enforcement Directorate)।
রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে শাহজাহানের বাড়িতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েছিলেন ইডি (ED) আধিকারিকরা। এবার সেই কেন্দ্রীয় এজেন্সিই তাঁকে হেফাজতে চাইতে পারে। তবে রেশন দুর্নীতি নয়, এবার মাছের ব্যবসা সম্বন্ধিত আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে শাহজাহানের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে ইডি।
আরও পড়ুনঃ ভোটের আগে অ্যাকশনে NIA! ভূপতিনগর বিস্ফোরণে ৩ TMC নেতাকে তলব, কুণাল বললেন, ‘ওঁরা যাবে না’
এই মামলা সম্বন্ধে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই তাঁকে হেফাজতে চাওয়া হতে পারে বলে খবর। অনুমান করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকদের প্রশ্নের সম্মুখীন হলে একাধিক তথ্য ফাঁস করতে পারেন শাহজাহান। আরও বহু তথ্য এবং দুর্নীতি সামনে উঠে আসতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। সেই কারণে সন্দেশখালির ‘বাঘ’কে ইডি হেফাজতে চাইতে পারে বলে খবর।
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে শাহজাহানের সরবেড়িয়ার বাড়িতে উপস্থিত হয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। তবে সেখানে গিয়ে উত্তেজিত জনতার হামলার মুখে পড়েন তাঁরা। প্রাণ বাঁচাতে সেখান থেকে পালাতে হয় তাঁদের। ইডির ওপর আক্রমণের এই ঘটনার পর প্রায় ৫৫ দিন ফেরার ছিলেন শাহজাহান। এরপর মিনাখাঁ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে বর্তমানে এই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই।