বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জেরার জন্য কাউকে তলব করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করানোর দিন শেষ! এমনকি ‘অযৌক্তিক’ সময়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে না। সম্প্রতি তদন্তকারী আধিকারিকদের জন্য এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। একটি জনপ্রিয় সংবাদসংস্থা সূত্রে মিলেছে এই খবর।
তদন্তকারী আধিকারিকদের জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি ইডি-র (Enforcement Directorate)!
পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা দুর্নীতি থেকে শুরু করে আরও একাধিক দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে এই কেন্দ্রীয় এজেন্সি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করানোর অভিযোগ বহুবার ইডির (ED) বিরুদ্ধে উঠেছে। বাংলা সহ গোটা দেশের নানান প্রান্ত থেকে এই ধরণের অভিযোগ সামনে এসেছে। এই আবহে এবার কড়া নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
রিপোর্ট অনুযায়ী, একটি আর্থিক দুর্নীতি মামলার সূত্রে ৬৪ বছর বয়সি এক ব্যক্তিকে তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। অভিযোগ, জেরার জন্য ডেকে তাঁকে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখা হয়। এক ‘অযৌক্তিক’ সময়ে তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয় বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এরপর এই নিয়ে সোজা বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি।
আরও পড়ুনঃ অভদ্র ব্যক্তি! ‘কুণাল ঘোষের মতো একজন…’! তৃণমূল নেতাকে নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত জুনিয়র চিকিৎসকদের
এই মামলায় উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, এর ফলে ওই ব্যক্তির একদিকে যেমন ঘুমের অসুবিধা হচ্ছে, তেমনই তাঁর নূন্যতম মানবাধিকারও খর্ব হচ্ছে। বম্বে হাইকোর্ট (Bombay High Court) বলে, ‘আদালত এই ধরণের কাজে অনুমোদন দেয় না’। এই বিষয়ে ইডি-কে যথাযথ নির্দেশিকা জারি করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল।
সংশ্লিষ্ট সংবাদসংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১১ অক্টোবর ইডি এই মর্মে একটি অভ্যন্তরীণ নির্দেশিকা জারি করে। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, জেরার জন্য কাউকে তলব করার আগে তদন্তকারী আধিকারিকদের সব নথিপত্র এবং প্রশ্নমালা তৈরি রাখতে হবে। নির্ধারিত সময়ে কোনও ব্যক্তিকে তলব করার পর যাতে তাঁকে দীর্ঘসময় অপেক্ষা না করতে হয়, সেকথাও বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। সেই সঙ্গেই তদন্তকারী আধিকারিকদের আরও বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা।
উল্লেখ্য, স্রেফ বম্বে হাইকোর্টই নয়, সম্প্রতি পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্টেও অন্য একটি মামলায় প্রশ্নের মুখে পড়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। আর্থিক দুর্নীতি সম্বন্ধিত একটি মামলায় টানা প্রায় ১৫ ঘণ্টা ধরে একজন কংগ্রেস বিধায়ককে কেন্দ্রীয় এজেন্সির দফতরে থাকতে হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই মামলায় আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, এটা কোনও ‘নায়কোচিত’ কাজ নয়। বরং এটি কোনও ব্যক্তির মর্যাদার পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেছিল উচ্চ আদালত।