বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতির আবহেই গত বছর অক্টোবর থেকে রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যে। এই মামলাতেই ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। ২০২৩ থেকে এখনও তার ঠিকানা সেই প্রেসিডেন্সি জেল। আগেই এই মামলাতে পুলিশি তদন্তের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এবার সেই সময়সীমা আরও বাড়ল। যা নিয়ে খানিক বিপাকে পড়েছে ইডি।
শুক্রবার বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে রেশন মামলা উঠলে বিচারপতির নির্দেশ, রাজ্যের হাতে রেশন দুর্নীতির যে মামলা আছে, তাতে স্থগিতদেশ বহাল থাকবে। আপাতত আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো তদন্ত করতে পারবে না পুলিশ। আগামী ৭ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের হাত থেকে রেশন মামলার তদন্ত নিজেদের হাতে পেয়ে প্রায় আট মাস আগে মামলা করেছিল ইডি। তবে এখনও কোনো সুরাহা হয়নি। প্রথমে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর বেঞ্চে শুরু হয় সেই আবেদনের শুনানি। ইতিমধ্যে মামলাটি তিন বিচারপতির এজলাস ঘুরে এলেও শুনানিই শুরু হয়নি। শুধু রাজ্যের হাতে থাকা তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন জাস্টিস সেনগুপ্ত। এদিন সেই স্থগিতাদেশের সময়সীমা আরও বাড়াল কলকাতা হাইকোর্ট।
শুক্রবার আদালতে ইডির আবেদন, মূল মামলা শোনা হোক। তা না-হলে অভিযুক্তরা একে একে জামিন পেয়ে যাচ্ছেন। এরপর আর তাদের কিছু করার থাকবে না বলেও জানায় ইডি। সেই আবেদনের ভিত্তিতে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ রাজ্যের হাতে থাকা মামলার কোনো তদন্ত আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশ করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কয়লা পাচার মামলায় নয়া মোড়! মন্ত্রী মলয় ঘটককে নিয়ে বিরাট নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, তোলপাড় রাজ্য
প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি মামলায় সর্বপ্রথম ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। তার সূত্র ধরতেই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্ৰিয় মল্লিক ওরফে বালুকে গ্রেফতার করে তদন্তকারী সংস্থা। এরপর একে একে গ্রেফতার হয়েছেন আরও অনেকে। তবে বালু এখনও জেলবন্দি থাকলেও গত ২৭ অগস্ট রেশন দুর্নীতি-কাণ্ডে তিন অভিযুক্ত, বাকিবুর রহমান, শঙ্কর আঢ্য এবং বিশ্বজিৎ দাসের জামিন মঞ্জুর করে বিশেষ ইডি আদালত। সকলকেই ৫০ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হয়। এই আবহে মামলার মূল অভিযুক্ত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জামিন নিয়েও চলছে জোর জল্পনা। এরই মাঝে কোমর বাধঁতে ফের আসরে নামল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।