বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সিবিআই হেফাজতে দিন কাটছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের। আর্থিক দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। বর্তমানে এই মামলার জট খুলতে উঠেপড়ে লেগেছে তদন্তকারী সংস্থা। এসবের মাঝেই এবার সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়ে বিপুল সম্পদের হদিশ পেল ইডি (Enforcement Directorate)।
সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে কী কী মিলল (Enforcement Directorate)?
শুক্রবার সন্ধ্যায় সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে, সল্টলেক বি ই ব্লক নিবাসী ওই ব্যবসায়ীর নাম স্বপন সাহা। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েই বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা এবং সোনার সন্ধান পান তদন্তকারীরা।
- ৫ কোটির সোনা পেল ইডি!
সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, আরজি করের (RG Kar Hospital) প্রাক্তন অধ্যক্ষ ঘনিষ্ঠ ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে বিপুল টাকা ক্যাশ এবং প্রায় ৭ কেজি সোনা উদ্ধার করেন ইডি আধিকারিকরা। একজন ব্যবসায়ীর বাড়িতে কেন এত বিপুল পরিমাণ সম্পদ রাখা ছিল? উঠেছে সেই প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা।
আরও পড়ুনঃ ৮ লাখে চাকরি, ২ লাখ দিয়ে ট্রান্সফার! সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ অভীকের নয়া কীর্তি ফাঁস, তোলপাড় রাজ্য
একইসঙ্গে ওই সম্পদ আয় বহির্ভূত কিনা সেটাও দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, সল্টলেক নিবাসী ওই ব্যবসায়ী সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই ওই স্বপনের নাম উঠে এসেছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, স্বপনের বাড়ি থেকে ইডি (Enforcement Directorate) যে ৭ কেজি সোনা উদ্ধার হয়েছে সেটার বাজারদর প্রায় ৫ কোটি টাকা।
এদিকে আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির তদন্তে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসছে। প্রথমেই সন্দীপের জমানায় হাসপাতালে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এবার ইডি (Enforcement Directorate) তদন্তেও উঠে আসছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার কয়েকদিন আগে বিশেষ সিবিআই আদালতে তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, হাউস স্টাফ নিয়োগের ক্ষেত্রেও ‘দুর্নীতি’র খোঁজ মিলেছে।
আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসকরাও হাউস স্টাফ সিলেকশনের ক্ষেত্রে কোনও প্যানেলের অস্তিত্ব ছিল বলে জানতেন না। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এমনটাই জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, সন্দীপ (Sandip Ghosh) নাকি ‘সাক্ষাৎকারে’র একটি সিস্টেম তৈরি করেছিলেন। তিনি নিজেই হাউস স্টাফ নিয়োগের একটি তালিকা তৈরি করতেন। দেখা গিয়েছে, সেখানে বহু মেধাবী পড়ুয়ার নাম নেই। তদন্তকারীরা এখানেও দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছেন বলে খবর।