বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ, খুনের ঘটনার পর থেকেই শিরোনামে রয়েছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তাঁর জমানায় হাসপাতালে হওয়া ভূরি ভূরি দুর্নীতির অভিযোগ ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। আরহিক দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন এই চিকিৎসক। বর্তমানে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হেফাজতে রয়েছেন। এর মাঝেই এবার সন্দীপ ঘনিষ্ঠ দু’জনের বাড়িতে হানা দিল ইডি (Enforcement Directorate)।
সন্দীপ ঘনিষ্ঠ কাদের বাড়িতে ইডি (Enforcement Directorate) হানা?
আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Case) আর্থিক দুর্নীতির মামলায় সন্দীপের সঙ্গেই গ্রেফতার হয়েছেন আরও দু’জন। হাসপাতালের ভেন্ডর সুমন হাজরা এবং বিপ্লব সিংহকে হাতকড়া পরিয়েছে সিবিআই। জানা যাচ্ছে, তাঁদের জেরা করে বেশ কিছু নতুন তথ্য হাতে এসেছে, উঠে এসেছে কয়েকজনের নাম। শুক্রবার সকালে ইডির ৬ সদস্যের একটি দল বিপ্লবের সাঁকরাইলের হাটগাছার বাড়িতে হানা দেন। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।
- নানান নথিপত্র খতিয়ে দেখেন ইডি আধিকারিকরা
এদিন ইডি (Enforcement Directorate) আধিকারিকরা সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার বিপ্লবের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিপ্লব আগে ছবি আঁকতেন। ছাপাখানার নানান ছবি আঁকার সঙ্গেই বাচ্চাদের আঁকা শেখাতেন। ৭-৮ বছর আগে ওষুধ ব্যবসায়ী সুমনের সঙ্গে পরিচয়ের পরেই তাঁর ভাগ্য বদলাতে শুরু করে। জানা যাচ্ছে, সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর ‘মা তারা ট্রেডার্স’ নামের একটি সংস্থা খোলেন বিপ্লব। আরজি করের পাশাপাশি শহর কলকাতার বেশ কয়েকটি হাসপাতালে নানান ধরণের চিকিৎসার সামগ্রী এবং যন্ত্রপাতি সরবরাহ করতে শুরু করেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ বড় বিপদ থেকে বাঁচলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি! কী হয়েছিল? মুখ খুলতেই তোলপাড়
বিগত ৫ বছরে বিপ্লবের ভাগ্য কার্যত বদলে যায়। এলাহিভাবে কালীপুজো করতেন, গোটা গ্রামকে বাড়িতে নেমন্তন্ন করে খাওয়াতেন তিনি। সেই সঙ্গেই এলাকায় বেশ কিছু সম্পত্তিও কেনেন। এত অল্প সময়ের মধ্যে বিপ্লবের আর্থিক প্রতিপত্তি এত বৃদ্ধি পাওয়া আগেই সিবিআইয়ের চোখে পড়েছিল। গত ২৫ আগস্ট কেন্দ্রীয় এজেন্সির একটি দল তাঁর বাড়িতে হানা দিয়ে বেশ কিছু কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করে। এরপর দফায় দফায় জেরার পর গ্রেফতার করা হয় বিপ্লব এবং সুমনকে।
এদিন বিপ্লবের পাশাপাশি ইডি (Enforcement Directorate) আধিকারিকদের আরেকটি দল হানা দেয় বিপ্লবের পরিচিত কৌশিক কোলের বাড়িতে। সেখানে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। স্থানীয়দের কথায়, কৌশিক আগে ইনকাম ট্যাক্স, সেল ট্যাক্স সহ নানান বেসরকারি সংস্থা আর্থিক হিসেবনিকেশের কাজ করতেন। তবে সুমন এবং বিপ্লবের সঙ্গে পরিচয়ের পরেই নাকি তাঁর আচার ব্যবহারে বদল চোখে পড়তে শুরু করে। এবার এই কৌশিকের বাড়িতেই হানা দিলেন ইডি আধিকারিকরা। তদন্তে কী উঠে আসে এবার সেটাই দেখার।