বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এই রাজ্যের একাধিক মামলার তদন্তভার রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির (Enforcement Directorate) হাতে। বহু হাইপ্রোফাইল মামলারও তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। এবার যেমন একটি দুর্নীতি কাণ্ডে বিপুল টাকা বাজেয়াপ্ত করল এই গোয়েন্দা সংস্থা। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, মোট ১২ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
কোন মামলায় এই অর্থ বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি (Enforcement Directorate)?
জাল নথি দিয়ে এনআরআই কোটায় মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি মামলার তদন্ত করছে ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে খবর, এর তদন্তে নেমে এই রাজ্যের পাশাপাশি ওড়িশার নানান বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ, কলেজগুলির কিছু কর্তা, এজেন্ট এবং সংযুক্ত আরও কিছু লোকের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। সেই সঙ্গেই ইডির জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হন ওই ব্যক্তিরা।
এই মামলার তল্লাশিতে আমেরিকার নোটারির ভুয়ো স্ট্যাম্প, জাল এনআরআই সার্টিফিকেট ও আরও বেশ কিছু ভুয়ো নথি উদ্ধার করেন ইডির গোয়েন্দারা। এবার এই মামলার তদন্তেই দু’জন ব্যক্তি এবং চারটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের (Medical College) ‘ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স’ বাজেয়াপ্ত করল সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী সংস্থা। টাকার অঙ্কটা ১২ কোটি ৩৩ লক্ষ। গোয়েন্দাদের দাবি, এখনও অবধি এই দুর্নীতির কাণ্ডে মোট ২৩ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকার জালিয়াতি হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ‘নূন্যতম বলপ্রয়োগ’! পুলিশের মারে রক্তাক্ত শিক্ষকরা! দেদার লাঠিচার্জের ব্যাখ্যা দিলেন উর্দিধারীরা
জানা যাচ্ছে, নিয়ম অনুযায়ী শুধুমাত্র ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রাই এনআরআই (NRI) স্পনসর হতে পারেন। সেখানে এনআরআইয়ের ভুয়ো নথি তৈরি করে তার মাধ্যমেই প্রচুর পড়ুয়ার কাছ থেকে মোটা টাকা তুলে তাঁদের মেডিক্যাল কলেজে অ্যাডমিশন করানো হয়েছে। এখানেই শেষ নয়! এই অসাধু উপায়ে ভর্তির জন্য এজেন্টদের মদত দেয় মেডিক্যাল কলেজগুলি এবং ভুয়ো নথি বানানোর জন্য তাঁদের অনেক টাকাও দেয় বলে খবর।
ইডি জানাচ্ছে, এমবিবিএস, এমডি, এমএস সব ধরণের কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রেই এই জালিয়াতি করা হয়েছে। কোর্স ভেদে বদলাত টাকার পরিমাণ! এমবিবিএসের জন্য এক-দেড় কোটি, এমএস বা এমডির জন্য তিন-চার কোটি টাকা নিত বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলি। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এমনটাই জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, মেডিক্যাল কলেজে এনআরআই কোটায় ভর্তিতে দুর্নীতি নিয়েই বেশ কয়েকদিন ধরেই অ্যাকশনে রয়েছে ইডি (Enforcement Directorate)। চলতি মে মাসেই শহর কলকাতার একাধিক জায়গায় হানা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা। এবার জানা গেল, বিপুল পরিমাণ অর্থ বাজেয়াপ্ত করার কথা।