তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রকে ফের তলব ED-র! এবার ডাকা হল ‘সেই’ ব্যক্তিকেও…

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিয়রে লোকসভা নির্বাচন। এর আগে তৃণমূল নেত্রী তথা কৃষ্ণনগরের প্রার্থী মহুয়া মৈত্রকে (Mahua Moitra) দিল্লিতে তলব করল ইডি। জানা যাচ্ছে, আগামী ২৮ মার্চ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ইডির (Enforcement Directorate) সদর দফতরে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে জোড়াফুল প্রার্থীকে। মহুয়ার পাশাপাশি ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানিকেও ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে খবর।

জানা যাচ্ছে, বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘনের একটি মামলায় মহুয়াকে দিল্লিতে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। এর আগেও এই মামলায় তৃণমূল (TMC) নেত্রীকে তলব করা হয়েছিল। তবে সেবার ইডি আধিকারিকদের মুখোমুখি হননি তিনি। মহুয়ার মতো ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানিকেও এর আগে এই মামলায় দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার তিনি হাজিরা দেবেন কিনা সেটা এখনও পরিষ্কার নয়।

প্রসঙ্গত, ‘প্রশ্ন ঘুষ কাণ্ডে’ জড়িয়ে সাংসদ পদ খারিজ হয়েছিল মহুয়ার। তৃণমূল (Trinamool Congress) নেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, ঘুষের বিনিময়ে লোকসভায় প্রশ্ন করেছিলেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালেও এই নিয়ে সরব হয়েছিল বিজেপি।

আরও পড়ুনঃ কোভিডকালে মিথ্যে হিসেব দিয়েছিল রাজ্য সরকার! সব ‘প্রমাণ’ সামনে এনে এবার বোমা ফাটালেন শুভেন্দু

ইতিমধ্যেই লোকপালের নির্দেশে মহুয়ার বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই। তদন্ত এবং তল্লাশি, দুই প্রক্রিয়াই শুরু হয়েছে। ভোটের আবহে গত শনিবার তৃণমূল নেত্রীর কলকাতার আবাসন, করিমপুরের ভাড়া বাড়ি এবং কৃষ্ণনগরের নির্বাচনী দফতরে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই আধিকারিকরা। এর বিরোধিতা করে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন কৃষ্ণনগরের জোড়াফুল প্রার্থী। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার সামনে এল ইডি সমনের খবর। আগামী বৃহস্পতিবার মহুয়াকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হলেও তিনি যান কিনা সেটাই এবার দেখার।

enforcement directorate ed summons mahua moitra

প্রসঙ্গত, ‘প্রশ্ন ঘুষ কাণ্ডে’র রেশ এখনও পুরোপুরি না কাটলেও মহুয়ার পাশে রয়েছে দল। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনেও তাঁকে টিকিট দিয়েছে জোড়াফুল শিবির। কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকেই দাঁড় করানো হয়েছে তাঁকে। অপরদিকে হেভিওয়েট এই নেত্রীর বিরুদ্ধে বিজেপির বাজি রানিমা অমৃতা রায়। নির্বাচনী লড়াইয়ে কে বাজিমাত করেন সেটাই দেখার।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর