বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২৪ সালের শুরু থেকেই সংবাদের শিরোনামে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। সদ্য তাঁর সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এবার তাঁকে ১২ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। এসবের মাঝেই সামনে এল বড় খবর।
ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় ইডি (Enforcement Directorate)। আদালতে আবেদনের প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে বলে খবর। উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে শাহজাহানের বাড়িতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েছিলেন ইডি (ED) আধিকারিকরা। তবে জানা যাচ্ছে, এবার আমদানি-রফতানি সম্বন্ধিত একটি মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান গোয়েন্দারা। মাছের ব্যবসা থেকে কীভাবে কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হলেন তিনি, সেই বিষয়টা ইডি খতিয়ে দেখতে চায় বলে খবর।
আদালতের নির্দেশে বর্তমানে সন্দেশখালি কাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই (CBI)। ইতিমধ্যেই সন্দেশখালির ‘বাঘে’র দু’টি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গেই সামনে এসেছে তাঁর বিপুল সম্পত্তির কথা। জানা যাচ্ছে, এখনও অবধি প্রায় ১৩ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে মাছের ভেড়ি, ফ্ল্যাট, জমি রয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ সেলফি লাগবে না! দেবের কাছে এই জিনিসের দাবি তুললেন ঘাটালের মহিলারা…
সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, এই বিপুল সম্পত্তি সূত্রে ইতিমধ্যেই সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’র বিরুদ্ধে আমদানি-রফতানি সম্বন্ধিত একটি মামলা রুজু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শাহজাহান মার্কেট ও ধামাখালির একটি মাছ বাজারও তাঁদের স্ক্যানারে রয়েছে বলে খবর। মাছের ব্যবসায়ী থেকে কোটি টাকার মালিক, কীভাবে এতখানি ফুলেফেঁপে উঠলেন শাহজাহান? বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চাইছেন ইডি আধিকারিকরা।
জানা যাচ্ছে, আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত মামলা সূত্রেই শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে চাইতে পারে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শনিবার কিংবা সোমবার বিশেষ আদালতে এই জন্য আবেদনও করা হতে পারে বলে খবর। শাহজাহানকে যদি ইডি হেফাজতে পাঠানো হয়, তাহলে আরও অনেক তথ্য উঠে আসবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।