বাংলা হান্ট ডেস্ক : নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) পর এবার একশ দিনের কাজ প্রকল্পে অনিয়ম নিয়ে তেড়েফুঁড়ে মাঠে নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। সূত্রের খবর, এই খাতে বাংলার প্রায় ২১ লক্ষ শ্রমিকের মজুরি আটকে আছে। যদিও রাজ্য সরকারের দাবি, এই বকেয়া টাকা খুব শীঘ্রই মিটিয়ে দেওয়া হবে। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির দাবি, এই বকেয়ার মধ্যেও থাকতে পারে দুর্নীতি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২১ লক্ষ শ্রমিকের এই বকেয়া মজুরি বাবদ আটকে আছে প্রায় ২৮০০ কোটি টাকা। এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন যে, আগামি ২১ ফেব্রুয়ারীর আগেই রাজ্যের শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হবে এই টাকা। ইতিমধ্যেই নাকি এসওপি, তথা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর তৈরি করতে শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর।
সূত্রের খবর, রাজ্যের জেলায় জেলায় পাঠানো হয়েছে ঐ এসওপি। যাতে বেশ স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে, গোটা বিষয়টায় যেন স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয়। এবং কোথাও কোনোরকম দুর্নীতি হচ্ছে কী না সেটিও যেন খতিয়ে দেখা হয়। ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসারদের কাছে গোটা বিষয়টি তদারকি করার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
আরও পড়ুন : দেরিতে প্যান-আধার লিঙ্ক, লেট ফি বাবদ আয় ৬০০ টাকা! বড় তথ্য দিল কেন্দ্র
সূত্রের খবর, এই এসওপি তে বলা হয়েছে, ঠিক কাদের টাকা পাওনা রয়েছে তা আগে খতিয়ে দেখতে হবে। তৈরি করতে হবে তালিকা। পাশাপাশি উপভোক্তাদের জব কার্ড এবং বৈধ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে কী না তাও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবং উপভোক্তাদের কারও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাকটিভ রয়েছে কী না বা কোনও শ্রমিক মারা গেছে কী না তাতেও নজর দিতে বলেছে নবান্ন।
আরও পড়ুনঃ BJP একাই পাবে ৩৭০, সংসদ ভবনে দাঁড়িয়ে আত্মবিশ্বাস মোদী! করলেন বড় ঘোষণা
এই তালিকা তৈরি হয়ে গেলে তা পাঠানো হবে ব্যাঙ্ক পঞ্চায়েতে। এরপর বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঐ তালিকা মিলিয়ে দেখার দায়িত্ব পঞ্চায়েত দফতরের। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত তথ্য সবকিছু খতিয়ে দেখে তা লিপিবদ্ধ করার নির্দেশ রয়েছে এসওপিতে। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে লিস্ট চূড়ান্ত করে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ব্যাঙ্ক ওয়াড়ি পেমেন্ট অ্যাডভাইজ তৈরি করে ফেলতে হবে বিডিওদের। এরপর আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাবে নবান্ন।