বাংলা হান্ট ডেস্ক : রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে (Ration Distribution Scam) মূল অভিযুক্ত বাকিবুর রহমানের (Bakibur Rahman) সূত্র ধরেই বিদেশে পৌঁছেছিলেন শংকর আঢ্য (Sankar Adhya)। সেই সাথে মধ্য প্রাচ্যে বাকিবুরের একাধিক ব্যবসাতেও লগ্নি করেছিলেন তিনি। সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছে ইডি (Enforcement Directorate)। তবে এই কালো টাকা ঠিক কীভাবে হাত বদল হত সেটাই জানার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি সূত্রে খবর, রেশন বণ্টন দুর্নীতির টাকা দিয়েই বিদেশে একাধিক ব্যবসা খোলার পরিকল্পনা করেছিলেন বাকিবুর।
বাকিবুর গ্রেফতার হওয়ার পর তার স্ত্রীকে জেরা করে ইডি আধিকারিকরা। তিনিই ইডি কর্তাদের এই ব্যবসার কথা জানিয়েছিলেন। সেই সূত্রধরে ইডি কর্তারা তদন্ত শুরু করেন। উঠে আসে বাকিবুরের নানাবিধ কর্মকাণ্ড। জানা যায়, দুবাইয়ের মত ধনী দেশে গাড়ি ও বাইকের ব্যবসা করতেন বাকিবুর। রেশন বণ্টন দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হত এই ব্যবসায়।
এমনকি রাজ্যের গরিব দুঃখী মানুষের হকের টাকা দিয়ে তিনি দুবাইয়ে পানশালা খোলার পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে তা বাস্তবায়িত করার আডেই ইডির জালে আটকা পড়েন বাকিবুর। যদিও তার বিদেশের ব্যবসা এখনও রমরমিয়ে চলছে বলে ধারণা ইডি কর্তাদের। এবং তার হাত ধরেই মধ্য প্রাচ্যে পৌঁছায় বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য। দুবাইয়ে নিজের ছেলে শুভ আঢ্যর নামে একটি সংস্থাও খোলেন তিনি।
আরও পড়ুন : ‘অসম্মানিত, তবুও যাই!’ INDIA জোট নিয়ে বিস্ফোরক মমতা, মুখ খুললেন সিপিএমের দাদাগিরি নিয়ে
তারপর থেকেই শংকর এবং বাকিবুরের সংস্থায় বিনিয়োগ হয়েছে রেশন দুর্নীতির টাকা। তবে এই সব টাকা কিভাবে বিদেশে পৌঁছেছে এবং কোন কোম্পানির মাধ্যমে তা লগ্নি হয়েছে সেই বিষয়ে তদন্ত এখনও চলছে বলে খবর। পাশাপাশি ইডির দাবি, এই গোটা কর্মকাণ্ড ঘটেছে বাকিবুরের ইশারাতেই। মূলত বাকিবুরের নির্দেশেই শংকর তার সংস্থা খোলেন এবং রেশন দুর্নীতির টাকা বাকিবুরের সংস্থায় পৌঁছে দিতেন বলে ধারণা ইডি কর্তাদের।
আরও পড়ুন : ‘এই সুর্পনখা ক্ষমতায় থাকলে…’, বাংলার ভয়াবহ ভবিষ্যৎ আশঙ্কা করে মমতাকে তোপ শুভেন্দুর
পরিবর্তে বাকিবুরের ব্যবস্যার লাভের একটা মোটা অংশ নিতেন শংকর। বাকিবুরের ব্যবসায় যে বিপুল অঙ্কের অর্থের প্রয়োজন হত তা মূলত শংকরের হাত দিয়েই যেত বলে ধারণা করছেন ইডি আধিকারিকরা। সম্প্রতি পানশালার তথ্য মেলার পর এই বিষয়টাও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী কর্মকর্তারা। ধারণা করা হচ্ছে বাকিবুরের গ্রেফতারির পর শংকর বা তার ছেলের হাত দিয়ে ঐ পানশালায় লগ্নি হয়ে থাকতে পারে।