বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুর্নীতি, স্ক্যাম! গত বছর থেকে রাজ্য জুড়ে যা হচ্ছে তাতে রীতিমতো চোখ কপালে উঠেছে সাধারণ মানুষের। একের পর এক দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হয়েছে বাংলায়। শিক্ষক দুর্নীতির অভিযোগে বর্তমানে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) সহ একাধিক নেতা, আধিকারিক। সেই নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য থেকে রাজনীতি। এরই মধ্যে গত সোমবার চিটফান্ডকাণ্ডে (Chit Fund Scams) ফের গ্রেফতার করা হয় একজনকে।
আর তারপরই একের পর এক তথ্য তদন্তকারীদের হাতে। আমানতকারীদের বিপুল টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হন চক্র গ্রুপের এক কর্ণধার। চক্র গ্রুপের কর্তা পার্থ চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করে ইডি। এরপর মঙ্গলবার তাকে ব্যাঙ্কশালে ইডির বিশেষ আদালতে তোলা হয়। আপাতত চক্র গ্রুপের কর্ণধারকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এই পার্থ চক্রবর্তীকে পূর্বে একটি সংবাদপত্রের সম্পাদক ছিলেন পার্থ। ইডির অভিযোগ, আমানতকারীদের ৫৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল এই চিটফান্ড সংস্থাটির। এর মধ্যে ১১ কোটি ৫ লাখ টাকার হিসাব পাওয়া গেলেও ৪৮ কোটি টাকার হিসাব মেলেনি। ইডির অনুমান পার্থ চক্রবর্তী ওই টাকা গোপনে অন্য কোথাও পাচার করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রীকে ‘বিশেষ’ অনুরোধ শুভেন্দুর! এবার কি করবেন মমতা? তুঙ্গে জল্পনা
তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, পার্থ নিজেরই একটি হোটেল তারই সংস্থা চক্র ইনফ্রাস্ট্রাকচারকে বিক্রি করে আমানতকারীদের টাকা সরানোর ব্যবস্থা করেন। তার তারাপীঠের একটি হোটেল নিজেরই সংস্থাকে বিক্রি করতে দশ কোটি টাকার চুক্তি করেন। যেই চুক্তির মাধ্যমে চক্র গ্রুপই ৬ কোটি টাকা পার্থর নিজস্ব অ্যাকাউন্টে পাঠায়।
এরপর পার্থ সেই হোটেল অন্য একটি সংস্থাকে লিজে দিয়ে সেখান থেকেও টাকা তোলেন। ইডির আরও দাবি, একটি মিডিয়া হাউজের মাধ্যমেও ১ কোটি ৬১ লাখ ৭৮ হাজার ২৪৩ টাকা পার্থর অ্যাকাউন্টে পৌঁছয়। এরম একাধিক কারবার চলতে থাকে।
আরও পড়ুন: হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রীকে ‘বিশেষ’ অনুরোধ শুভেন্দুর! এবার কি করবেন মমতা? তুঙ্গে জল্পনা
এরপর ২০১৩ সালে পার্থ চক্র গ্ৰুপ ছেড়ে দেন বলে জানা যায়। তবে তদন্তে নেমে অন্য তথ্য হাতে আসে। গোয়েন্দাদের দাবি পার্থ নিজের এক নিকটাত্মীয়কে সেই সংস্থার ডিরেক্টর বানান যিনি ইতিমধ্যেই ইডিকে জানিয়েছেন পার্থর কথায় চাপে পড়ে তিনি কর্তা হতে বাধ্য হন। অন্য একজন কেও মাসিক ৩ হাজার টাকার বিনিময়ে পার্থ ওই সংস্থার ডিরেক্টর বানান।
প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, এর আগেও ২০০৭ সালে একবার গ্রেফতার করা হয়েছিল পার্থ চক্রবর্তীকে। সেই সময় দমদম বিমানবন্দর থেকে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা তাকে গ্রেফতার করেন। এই পার্থ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে কয়েকশো কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ, গরফা এলাকায় ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে বাজার থেকে বহু টাকা তোলেন পার্থ। তবে সেই সব নিয়ে চম্পট দেয়৷ বহুদিন পালিয়েও ছিলেন তিনি। পাশাপাশি বিভিন্ন স্কিমের টোপ দিয়ে কোটি টাকা টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।