বাংলা হান্ট ডেস্ক : তিনি কুণাল ঘোষ। তিনি মুখ খুললেই! পেশাগত ভাবে সাংবাদিক হলেও এই মুহুর্তে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) শাসক দল তৃণমূলের (Trinamool Congress) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। এরই পাশাপাশি দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুখপাত্র। তৃণমূল যখনই বিপাকে পরে তখনই ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলে’ উপস্থিত হন তিনি। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বরাবরই চাঁচাছোলা। এদিন তেমনই বাংলা হান্ট আয়োজিত মেগা ইভেন্টে সাক্ষাৎকার দিতে এসে বিস্ফোরক ভঙ্গিমা বজায় রাখলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghose)।
কী প্রশ্ন করা হয় কুণাল ঘোষকে? সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘তৃণমূল বারবার অভিযোগ করে বলেছে ইডি বা সিবিআই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলার জন্য চাপ দিত, তাহলে, আপনার বিরুদ্ধে যখন তদন্ত চলছিল তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলার জন্য আপনাকে কে বা কারা চাপ দিয়েছিল?’
কী উত্তর দেন কুণাল? তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে এখানে কোনও মন্তব্য করব না। আমি এদের চিনি। সিবিআই, ইডিকে আমি চিনি। এদের সঙ্গে তো ঘর করেছি। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিতেতে অনেক ভালো আধিকারিক রয়েছেন। কিন্তু তাঁদের সকলকেই কেন্দ্রের কথা মেনে চলতে হয়।?
তিনি আরও বলেন, ‘দফতরে একাধিক দক্ষ ও যোগ্য আধিকারিক থাকা সত্ত্বেও তাঁদের দিল্লির অঙ্গুলিহেলনে কাজ করতে হয়। তবে কোনও আধিকারিক যদি অভিষেকর বিষয়ে কিছু জানতে চান, তাহলে যথা সময়ে যথা জায়গায় আমি গিয়ে বলে আসবো!’ আসলে রাজনৈতিক চাপে পড়ে অনেক সময়ই সিবিআই ইডি অনভিপ্রেত কাজকর্ম করে ফেলে। তখনই আমাদের সমালোচনা করতে হয়।
এদিন কুণাল ঘোষকে নবজোয়ার নিয়েও প্রশ্ন করেন সাংবাদিক। এর উত্তরে তিনি বলেন, ‘নবজোয়ারে জনসমাগম দেখে বিরোধীরা ভয় পেয়েছে। তাদের কেনো সংগঠনই নেই। তারা একে অপররের সঙ্গে সেটিং করেই চলছে।’
কুণাল ঘোষ এদিন তোপ দাগেন সিপিএমকেও। রাজ্যে ঘটে চলা একের পর এক বোমা বিস্ফোরণ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ আজ অনেকটাই শান্ত। বাম আমল ছিল হত্যাকাণ্ডের স্বর্গরাজ্য। সাঁইবাড়ি, বিজন সেতু, মরিচঝাঁপির মত হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিল বাম। তৃণমূলের সুশাসনে বাংলা আজ বিপদমুক্ত।’