বাংলাহান্ট ডেস্ক : সপ্তাহের শুরুর দিনেই ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) শুরু হলো ইডির অভিযান। সোমবার সকাল থেকেই ছত্তিশগড়ের ১৪টি জায়গায় ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) তরফ থেকে খানা তল্লাশি চালানো হয় বলেই খবর আছে। সূত্রের খবর, কয়লা শুল্ক সংক্রান্ত দুর্নীতিতে একের পর এক বিশেষ ব্যক্তির নাম উঠে আসতেই আসরে নেমে পড়েছে ইডি। একাধিক কংগ্রেস নেতা-মন্ত্রী ও তাদের সচিবদের অফিসে অনুসন্ধান চালানোর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের (Bhupesh Baghel) ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর বাড়িতেও হাজির হয়েছে ইডি।
জানা গিয়েছে, ইডি আধিকারিকদের তল্লাশি অভিযানের বিষয় নিয়ে আজ সকালে ভূপেশ বাঘেল নিজের বাসভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেছেন। রাজ্যে আমদানি করা কয়লার উপরে বেআইনিভাবে প্রতি টন পিছু ২৫ পয়সা করে শুল্ক বাড়িয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করেই অভিযোগ উঠে আসে। স্পষ্ট হয়ে যায়, বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা, আমলারা এই চক্রান্তের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। ইডির তরফে বলা হয়েছে, শুধু ২০২১ সালেই সব মিলিয়ে মোট ৫৪০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।
এই মোটা অঙ্কের দুর্নীতির টাকা কংগ্রেসের পার্টি ফান্ডে ব্যবহার করার পাশাপাশি বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বকেও দেওয়া হয়। এই টাকা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করেই ইডি আধিকারিকরা বোঝার চেষ্টা করছেন, কোথায় কোথায় ওই টাকা জমা রয়েছে এবং খরচ করা হয়েছে। আজও যে ১৪ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে সেই তালিকায় কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন দাপুটে বিধায়কের বাড়ির ঠিকানাও আছে।
যদিও, এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে এখনও কংগ্রেসের তরফে স্পষ্ট করে কিছুই বলা হয় নি। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের অক্টোবরে ইডি আধিকারিকরা এসে হাজির হয়েছিলেন ছত্তিশগড়ের একাধিক শীর্ষ নেতা, ব্যবসায়ী ও আমলাদের বাড়িতে। মোট ৪০টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে নগদ ৪ কোটি টাকা, বিভিন্ন দামী সামগ্রী যার বাজারমূল্য কোটি টাকা এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করেছিল।