বসতেন খোদ অনুব্রত, মমতা বীরভূম ছাড়তেই তৃণমূল অফিসে ED হানা

বাংলা হান্ট ডেস্ক : গরু পাচার মামলায় ফের একবার সক্রিয় হয়ে উঠল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (Enforcement Directorate)। মুখ্যমন্ত্রীর বীরভূম (Birbhum) সফরের পরপরই বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকায় তৃণমূল কার্যালয়ে হানা দেয় ইডির দল। ইডি হানার এই ঘটনায় শোরগোল ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত রবিবার বীরভূম সফরে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী কর্মকর্তাদের তদন্তের উপর প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। ঘটনাচক্রে সোমবার বিকেলেই তিনজন ইডি আধিকারিকের একটি দল পৌঁছায় বীরভূমের বোলপুরে তৃণমূল কার্যালয়ে। উল্লেখ্য, এই কার্যালয়েই বসতেন কেষ্ট ওরফে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)।

সূত্রের খবর, গরু পাচার মামলার তদন্ত করতেই এইদিন ইডি আধিকারিকরা বোলপুরে পৌঁছান। তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে নেমেই তারা তদন্ত শুরু করে দেন। আসেপাশের মানুষজনদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা থেকে শুরু করে বিল্ডিংয়ের দোকানদারের সাথেও কথা বলেন তারা। এই তৃণমূল কার্যালয়ের বিল্ডিং-য়ে দোকান ভাড়া নেওয়ার সময় তারা কার সাথে যোগাযোগ করেছিলেন, কাকে ভাড়া নেন এই সবকিছুই খুঁটিয়ে জিজ্ঞেস করেন তারা।

আরও পড়ুন : শাহজাহানের পর খলিল! লাঠি, ঝাঁটা হাতে মাঠে হাওড়ার মহিলারা! তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সোমবার বোলপুরের তৃণমূল কার্যালয়ে তদন্ত শুরু করার আগে ইডি কর্তারা গেছিলেন মহকুমা ভূমি সংস্কার দফতরে। তিন আধিকারিকের এই দল বিএলআরও অফিসারের সাথে কথাও বলেছেন। এলাকার খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি তৃণমূল কার্যালয় যে জমির উপর অবস্থিত সেই জমিটির বিষয়েও কথা বলেন তারা।

আরও পড়ুন : এবার ক্ষুব্ধ উদ্ধ্ববও! জোটের আগে বড় ঘোঁট I.N.D.I.A-য়, ফের ধরবেন বিজেপির হাত?

 

517721 118538 lvagmntbgt 1556505602

সমস্ত নথিপত্র ঘেঁটে দেখার পর সংশ্লিষ্ট তৃণমূল কার্যালয়ে পৌঁছান তিন ইডি আধিকারিকের ঐ দল। সেখানে পৌঁছেই শুরু করে দেন মাপজোক। এখানে বলে রাখা ভালো, এর আগে বোলপুরের ঐ দলীয় কার্যালয় তৈরির খরচ এবং বহুতলটি যে জমির উপর তৈরি হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিজেপি। একই সাথে প্রশ্ন তোলা হয় সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের কালীপুজোর সময় মূর্তিতে যে সোনার অলঙ্কার পরানো হয় তার উপরেও।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর