বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে শিরোনামে রয়েছে রেশন দুর্নীতি কাণ্ড। পেঁয়াজের খোসার মতো বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সম্প্রতি এই মামলায় উঠে এসেছে ‘মনাদা’ নামের এক ব্যক্তির নাম। সেই সঙ্গেই জানা গিয়েছে, কীভাবে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অ্যাকাউন্টে জমা পড়ত লক্ষ লক্ষ টাকা। এবার এই মামলাতেই আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল ইডি (Enforcement Directorate)।
ইডির (Enforcement Directorate) ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বিচারক!
সোমবার বিচার ভবনে বিশেষ ইডি আদালতে রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত আনিসুর রহমান ওরফে বিদেশ এবং আলিফ নুর ওরফে মুকুলের মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই ইডির(Enforcement Directorate) ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারক প্রশান্ত মুখোপাধ্যায়। ‘আপনারা এই কেসটা কি ১০০ বছর নিয়ে যাবেন?’ কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে প্রশ্ন করেন তিনি।
এদিনের শুনানিতে বিচারক বলেন, ‘আমার কাছে নথি দিয়েছেন সেখানে রাইস মিলারদের নাম রয়েছে। গ্রেফতার কেন করছেন না? আমি যখন আদালতে বসেছি তখন দেখতে চাই দ্রুত তদন্ত হোক। দ্রুত ট্রায়াল হোক। আপনারা কেন সিলেক্টিভ? আনিসুরের বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর নেই। এদিকে সম্পূর্ণ রাজ্যে রেশন দুর্নীতি নিয়ে এত মামলা রয়েছে। রাইস মিলারদের নাম আছে, তাঁদের কেন ধরছেন না?’
আরও পড়ুনঃ বাড়ি তৈরির খরচ হয়ে গেল অর্ধেক! কলকাতা পুরসভার এক সিদ্ধান্তে খুশির হাওয়া তিলোত্তমায়
সরকারি আইনজীবী ভাস্কর মুখোপাধ্যায় এদিন বলেন, তদন্তে যে তথ্য উঠে এসেছে সেটার ওপর ভিত্তি করেই এই কাণ্ডের (Ration Scam) তদন্ত এগোচ্ছে। এনারা একইভাবে (বাকিবুর রহমানের মতো) দুর্নীতি করেছে। পরিচিতদের ভুয়ো কৃষক বানিয়ে সরকারের টাকা লুঠ করেছে বলে দাবি করেন তিনি।
বিদেশ এবং মুকুলের মামলার শুনানিতে বিচারক বলেন, ‘এই দু’জনকে আবার আপনারা ৪ দিনের জন্য হেফাজতে চাইছেন। এর আগে ১০ দিন হেফাজতে ছিল। আমায় বোঝান আরও ৪ দিন কেন লাগবে? ১০ দিন দেওয়া হয়েছিল। একদিনে কত ঘণ্টা করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন? দুর্নীতিতে কে যুক্ত আপনি জানেন, অথচ গ্রেফতার করছেন না’।
সরকারি আইনজীবী বলেন, সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। রাইস মিল থেকে একটি রেজিস্ট্রার পাওয়া গিয়েছে, সেটা যাচাই করতে হবে। ইডির (Enforcement Directorate) ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও শেষ অবধি মুকুল এবং বিদেশকে ৪ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।