বাংলাহান্ট ডেস্ক : ফের বড়সড় মাছ উঠে এল ইডির জালে। শুক্রবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) তরফে জানানো হয়, আইএএস অফিসার সঞ্জীব হংস প্রতারণা মামলার সঙ্গে নাম জড়ানো কয়েকজনের বাড়িতে নতুন করে তল্লাশি চালিয়ে ১১.৬৪ কোটি টাকা উদ্ধার করা ড়য়েছে। ইডির তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে এ খবর জানানো হয়েছে।
একাধিক জায়গায় তল্লাশি ইডির (Enforcement Directorate)
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিহার কনস্ট্রাকশন ডিপার্টমেন্টের চিফ ইঞ্জিনিয়ার তারিণী দাস, বিহার সরকারের ফিনান্স ডিপার্টমেন্টের জয়েন্ট সেক্রেটারি মুমুক্ষু চৌধুরী, আরবান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড হাউজিং ডিপার্টমেন্টের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার উমেশ কুমার সিং এর বাড়িতে চালানো হয় তল্লাশি।
কী অভিযোগ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে: বিহার আরবান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের ডেপুটি প্রোজেক্ট ডিরেক্টর, বিহার মেডিকেল সার্ভিসেস অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার কর্পোরেশন লিমিটেডের ডিজিএম এবং বিহার কনস্ট্রাকশন ডিপার্টমেন্টের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার এর বিরুদ্ধেও তল্লাশি চালায় ইডি। ঘুষ নিয়ে বিভিন্ন টেন্ডারকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই অফিসারদের বিরুদ্ধে। তবে এ প্রসঙ্গে তাঁদের তরফে কোনো মন্তব্য করা হয়নি এখনো।
আরো পড়ুন : হতে চলেছে সব রহস্যের সমাধান? মঙ্গলে যা খুঁজে পেল NASA-র রোভার….চমকে গেলেন বিজ্ঞানীরাও
কী কী উদ্ধার হল তল্লাশিতে: ইডির (Enforcement Directorate) তরফে আরো জানানো হয়েছে, তল্লাশিতে ১১.৬৪ কোটি টাকা ছাড়াও উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু সম্পত্তির নথি, ঘুষের টাকা সংক্রান্ত বেশ কিছু কাগজপত্র এবং আরো কিছু সন্দেহজনক নথিপত্র এবং ডিজিটাল প্রমাণ।
আরো পড়ুন : ভূস্বর্গে গুলির লড়াই! “সাফাইয়া” অভিযানে নামল সেনা, খতম দুই জঙ্গি, উদ্ধার এক পুলিশকর্মীর দেহ
প্রসঙ্গত, সঞ্জীব হংস ছিলেন ১৯৯৭ এর ব্যাচের একজন আইএএস অফিসার। শেষবার বিহারের জ্বালানি বিভাগের প্রধান সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। বিহার সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকাকালীন এবং ২০১৮-২৩ সালের মধ্যে কেন্দ্রীয় পদে মোতায়েন থাকার সময়ে বহু অনৈতিক কাজে যুক্ত থেকে টাকা কামিয়েছেন তিনি, এমনি অভিযোগ করা হয়েছে ইডির তরফে।