প্রাথমিক মামলায় নয়া মোড়, অভিষেকের সংস্থার আরও সম্পত্তির হদিশ! হাইকোর্টে বোমা ফাটাল ED

বাংলা হান্ট ডেস্ক : প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় (Primary Recruitment Scam) মিলল বড় আপডেট। আরও সম্পত্তির হদিস মিলেছে বলে জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। সূত্রের খবর, এইদিন আদালতে ইডির দাবি শুনে বিচারপতি অমৃতা সিং (Amrita Sinha) বেশ রুষ্টই হয়েছেন। তদন্তের গতিবিধির উপর প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি। সেই সাথে মামলার শুনানিতে সমস্ত রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় ইডির আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী বলেন, নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় আরও বেশকিছু অবৈধ সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। তদন্তকারী কর্মকর্তারা সেইসব সম্পত্তির জড় খোঁজার চেষ্টা করছে। এইকথা শুনেই বিচরপতি অমৃতা সিনহার ভর্ৎসনার সুরে বলেন, ‘সম্পত্তি চিহ্নিত করা হয়ে থাকলে এত সময় লাগছে কেন?’

ইডির আইনজীবী জবাব দেন, ইতিমধ্যেই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরুর করেছে তদন্তকারী কর্মকর্তারা। সেই সাথে অপরাধীদেরও চিহ্নিত করা হচ্ছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই এক অভিযুক্তের কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সেই রিপোর্ট চলে এলে তদন্তে গতি পাবে। পাল্টা জবাবে বিচারপতি সিনহা বলেন, ‘এ ভাবে সময় চলে গেলে প্রত্যেকে তদন্তের বাইরে চলে যাবে। তখন আর কিছু পাবেন না। এত দিনের সব পদক্ষেপ কাজে আসবে না। আর কত দিন লাগবে?’

আরও পড়ুন : বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড় বৃষ্টির খেল! একটু পরেই ভাসবে দক্ষিণবঙ্গের এই দুই জেলা, IMD-র ভয়ঙ্কর রিপোর্ট

এই প্রশ্নেরও জবাব তৈরি ছিল ইডির আইনজীবির কাছে। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি পদক্ষেপে আমরা মামলায় জড়িয়ে পড়ছি। যে কোনও নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে।’ পাল্টা প্রশ্নে বিচারপতি অমৃতা সিং বেশ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, এই কাজ মোটেও সহজ নয়। দুর্নীতির জট যত বেশি ঘন হবে ততই সমস্যা বাড়বে। জবাবে আইনজীবী ত্রিবেদী বলেন, সবকিছু জেনেই লড়াইতে নেমেছে তদন্তকারী কর্মকর্তারা। সবরকম চেষ্টাই করা হচ্ছে। এবং আগামী শুনানির মধ্যে সমস্ত রিপোর্ট দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন : নয়া রূপে সজ্জিত হচ্ছে দমদম! মিলবে অত্যাধুনিক পরিষেবা, এত কোটি টাকা খরচ করছে রেল

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পূর্বে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের সম্পত্তির বিবরণ দিয়েছিল ইডি। সেই রিপোর্ট দেখে বিশেষ কিছু প্রশ্ন উত্থাপন করেছিল বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, ২০১৪ সালের পর থেকে অভিষেক ব্যানার্জির সম্পত্তি কীভাবে বেড়েছে? তার এই সম্পত্তি বৃদ্ধির উৎস কী? পাশাপাশি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ছ’জন ডিরেক্টরের সম্পত্তির খতিয়ানও দেখতে চেয়েছেন তিনি।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর