বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার ইডি (Enforcement Directorate) স্ক্যানারে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক। গত বছর এপ্রিল মাসে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। প্রায় এক বছর জেলবন্দি থাকার পর গত মে মাসে জামিন পেয়েছেন। এবার ইডির তরফ থেকে তলব করা হয়েছিল তাঁকে। তবে সোমবার সেই হাজিরা এড়ালেন জীবনকৃষ্ণ।
ইডির (Enforcement Directorate) ডাকে কেন সাড়া দিলেন না বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক?
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত বছর সিবিআই তল্লাশি চলাকালীন নিজের দু’টি মোবাইল ফোন পুকুরে ছুঁড়ে ফেলেছিলেন জীবনকৃষ্ণ। পুকুর ছেঁচে সেগুলি উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে, সেখান থেকে তথ্য উদ্ধার করা হয়েছিল, সেখানে ‘টাকা ফেরতে’র কথা উল্লেখ রয়েছে বলে দাবি করেছে সিবিআই। সেই বিষয়েই এবার তদন্তে নেমেছে ইডি।
সোমবার বিধাননগরের সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছিল জীবনকৃষ্ণকে। যদিও সেই ডাকে সাড়া দেননি তিনি। বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জানান, আইনজীবীর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ৭০ পাতার নথি পাঠিয়ে দিয়েছেন এবং তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নির্দেশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে শামিল হয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা! বোনের সঙ্গে বাংলাদেশ ছাড়লেন শেখ হাসিনা, আসছেন পশ্চিমবঙ্গে?
বড়ঞায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জীবনকৃষ্ণ বলেন, ‘আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সকল বিধায়ককে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে যোগদান করতে বলেছিলেন। আমি বিধানসভায় থাকার কারণে সেই কর্মসূচি পালন করতে পারিনি। সেই কর্মসূচি পালন করছি। প্রত্যেককে গাছ এবং পলিথিন শিট দেওয়া হচ্ছে’।
এদিকে প্রশ্ন উঠছে, সোমবার বিধানসভা অধিবেশন সচল থাকলেও কেন সেখানে যোগ দেননি বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক? ইডির (Enforcement Directorate) হাজিরা এড়ানোর জন্যই কি এই পদক্ষেপ? শুরু হয়েছে চর্চা। যদিও জীবনকৃষ্ণ জানিয়েছেন, তিনি নিজে সশরীরে ইডি দফতরে হাজির না হতে পারলেও তাঁর আইনজীবী কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাছে ৭০ পাতার নথি পেশ করবেন।
ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শিক্ষক নিয়োগে জীবনকৃষ্ণের মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। সেই টাকা কার কার কাছে গিয়েছে সেই বিষয়ে জানতেই বড়ঞার বিধায়ককে তলব করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।