বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ১,০০০ কোটি টাকার জমি কেলেঙ্কারির ঘটনায় শুক্রবার গোয়ার বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate, ED)। ওই কেলেঙ্কারিতে গোয়ার পর্যটন এলাকায় উচ্চমূল্যের জমি জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। এই প্রসঙ্গে জ্ঞাত একজন উচ্চ আধিকারিক এই তথ্য সামনে এনেছেন।
১,০০০ কোটির জমি কেলেঙ্কারির পর্দাফাঁস করল ED (Enforcement Directorate):
জানিয়ে রাখি যে, গোয়েন্দা তথ্য এবং তারপরের আর্থিক তদন্তের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার এবং আজ অর্থাৎ শুক্রবার অভিযান চালানো হয়। আধিকারিকদের মতে, তদন্তে জানা গেছে যে রোহন হরমালকারই এই ঘটনার মূল ষড়যন্ত্রকারী। শুক্রবার ED (Enforcement Directorate)-র জারি করা এক বিবৃতি অনুসারে, হরমালকার এবং তাঁর অন্যান্য সহযোগীরা “জাল নথি তৈরি করে, রেভিনিউ রেকর্ডে কারচুপি করে এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কার্যকলাপের মাধ্যমে বৈধ মালিকদের জমি অবৈধভাবে দখল করার জন্য একটি বড় ষড়যন্ত্র করেছিল।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, হরমালকার ২০২২ সালের গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে কুম্ভারজুয়া আসন থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ED (Enforcement Directorate)-র মতে, এই সম্পত্তিগুলি মূলত ব্যক্তি এবং পারিবারিক সম্পত্তির মালিকানাধীন ছিল। কিন্তু তাদের সম্মতি ছাড়াই সেগুলি অবৈধভাবে বিক্রি করা হয়। যার কারণে ওই ভুক্তভোগীদের গুরুতর আর্থিক এবং আইনি সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছিল। এদিকে, এই পদক্ষেপটি ২০০২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন (PMLA)-এর অধীনে নেওয়া হয় বলেও জানা গিয়েছে। ED জানিয়েছে যে, অভিযানের সময়ে সম্পত্তি সম্পর্কিত নথি উদ্ধার করা হয়েছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ১,০০০ কোটি টাকারও বেশি এবং এর মধ্যে জাল মালিকানার নথিও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
আরও পড়ুন: পহেলগাঁও-তে জঙ্গি হামলার পর বড় পদক্ষেপ নিরাপত্তা বাহিনীর! আটক ১৭৫ জন সন্দেহভাজন
এটাও জানা গিয়েছে যে, এই নথিগুলি থেকে বারদেজ তালুকের আসগাঁও, অঞ্জুনা এবং আরপোরার মতো প্রধান পর্যটন এলাকায় কয়েক লক্ষ বর্গমিটার বিস্তৃত উচ্চমূল্যের প্লটের জমির রেকর্ড কারসাজি এবং জালিয়াতিপূর্ণ হস্তান্তরের ইঙ্গিত মিলেছে। এদিকে, এই তল্লাশি অভিযানের সময় ৬০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের স্থাবর সম্পত্তির আসল নথি বাজেয়াপ্ত করেছে ED (Enforcement Directorate)।
আরও পড়ুন: পহেলগাঁও-তে ঘটা জঙ্গি হামলার সাথে যোগসূত্র রয়েছে পাক ক্রিকেটার বাবর আজমের? ব্যাপারটা কী?
এই অভিযানে জানা গিয়েছে, জালিয়াতির অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তি এবং বেনামী মাধ্যমে পাচার করা হয়েছিল এবং সেগুলি রিয়েল এস্টেট থেকে শুরু করে বিলাসবহুল যানবাহণ এবং অন্যান্য উচ্চমূল্যের সম্পদে বিনিয়োগ করা হয়। ED (Enforcement Directorate) বলেছে যে, এই অর্থের উৎস খুঁজে বের করতে এবং অন্যান্য সুবিধাভোগীদের শনাক্ত করতে ও অবৈধ সম্পত্তি লেনদেনের প্রক্রিয়ায় জড়িত সরকারি আধিকারিক থেকে শুরু করে অন্যদের ভূমিকা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বর্তমানে তদন্ত চালানো হচ্ছে।