বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) একের পর এক কীর্তি ফাঁস করছে ইডি (Enforcement Directorates)। যা দেখে রীতিমতো ভীমরি খাওয়ার জোগাড়। কয়লা, মাছের কারবারের পর শাহজাহান মামলায় চার্জশিট দিয়ে এবার ইডির দাবি, ইটভাটার কারবারকে সামনে রেখেও জমি দখলের বিপুল ‘কালো’ টাকা পাচার করেন সন্দেশখালি কাণ্ডের মূল হোতা।
আগেই ইটভাটার সাথে শাহজাহান যোগ সামনে এনেছিল সিবিআই। এবার চার্জশিট পেশ করে আরেক তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দাবি, ওই ইটভাটার সঙ্গে যুক্ত ৬টি ভুয়ো কনস্ট্রাকশন বা নির্মাণ সংস্থাও তৈরি করা হয়। ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে কনস্ট্রাকশন সংস্থাগুলির নামও। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এনেছে ইডি। সন্দেশখালিতে শাহজাহানের নিজের নামে থাকা ইটভাটার সন্ধানও পেয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
ইডির দাবি, শুধু মাছের ব্যবসার আড়ালেই জমি দখলের কালো টাকা সাদা করা হত এমন নয়, ইটভাটার ব্যবসাকে সামনে রেখেও এই একই পন্থায় চলত দুর্নীতি। চার্জশিটে ইডির বিস্ফোরক দাবি, মাছ-চিংড়ির কারবার ও ইটভাটার মাধ্যমে সন্দেশখালির শাহাজাহান ৫ কোটি ২১ লক্ষ টাকা পাচার করেছেন। ইটভাটার কারবারের মাধ্যমে পাচার হয়েছে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা।
ইডির হাতে যা তথ্য উঠে এসেছে তাতে বলা হয়েছে ওই ইটভাটা থেকে প্রচুর পরিমাণ ইট বিক্রি হয়েছে বলেও দেখানো হয়। তদন্তকারীদের দাবি ইটভাটা ভুয়া নথিও তৈরী করেন শাহজাহান। এছাড়াও সন্দেশখালিতে এমন আরও অনেক ইটভাটার খোঁজ সামনে এসেছে যা চালাতেন শাহজাহান ঘনিষ্ঠরাই।
আরও পড়ুন: দেরি করে অফিসে ঢুকলেই কাটা হবে সিএল, সরকারি কর্মীদের জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি
আদালতে ইডি জানিয়েছে শাহাজাহানের দুই ঘনিষ্ঠ জয়ন্তী ও তনুশ্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাাকউন্টে ৫০ লক্ষ টাকা করে জমা হয়েছে। যা পাঠানো হয়েছিল ইটভাটার সংস্থার অ্যাাকউন্ট থেকেই। শাহাজাহানের ওই ইটভাটার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও আয়কর রিটার্নও পরীক্ষা করে চার্জশিটে উল্লেখ করেছে তদন্তকারী সংস্থা। শাহজাহান সহ তার ভাই শেখ আলমগিরের ও ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরাদেরও একাধিক ভুয়ো সংস্থার খতিয়ান সামনে এনেছে ইডি। তদন্তকারীদের দাবি এই সংস্থাগুলির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার কারচুপি হয়েছে।