বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন দুর্নীতির পর এবার ১০০ দিনের কাজে (100 days work) আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে নামল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (Enforcement Directorates)। মঙ্গলবার সকাল থেকে বাংলার জেলায় জেলায় হানা দিয়েছে ইডির টিম। এদিকে সেই তদন্তে নেমেই প্রথমে খানিক বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছিল ইডিকে। এদিন সকাল সকাল জনৈক ব্যবসায়ী সন্দীপ সাধুখাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাতে হুগলির চুঁচুড়ার ময়নাডাঙার একটি ঠিকানায় কেন্দ্রীয় বাহিনী সহ পৌঁছে যায় ইডি। তবে কিছুক্ষণ পরই আধিকারিকেরা বুঝতে পারেন তার ভুল ঠিকানায় পৌঁছেছেন। তারপর?
তারপর আর কী! শুরু হয় আসল সন্দীপের খোঁজ। বহু খোঁজাখুঁজির পর হুগলির (Hooghly) চন্দনগরে আসল সন্দীপের খোঁজ পেল ইডি। তৎক্ষণাৎ সেখানে পৌঁছে গেলেন গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, সন্দীপ বর্তমানে খানাকুলের জগৎপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক। পূর্বে তিনি ধনিয়াখালির বেলমুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক ছিলেন। ১০০ দিনের কাজে আর্থিক দুর্নীতির তদন্তেই এদিন তার বাড়িতে হানা দেয় ইডি।
তবে যেই সন্দীপের খোঁজে এত কাঠখড় পোড়ানো হল সেই সন্দীপেরই দেখা মিললো না। চন্দনগরের বাড়িতে পৌঁছে ইডি আধিকারিকেরা জানতে পারেন বাড়িতে শুধুমাত্র সন্দীপের বৃদ্ধা মা ও তার স্ত্রী রয়েছে। সেখানেই রয়েছে ইডির টিম। সাথেই রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা।
সন্দীপের পরিবার সূত্রে জানানো হয়, সকালেই তিনি কাজে বেরিয়েছেন। তবে ইডি আধিকারিকদের সাথে তার ফোনে কথা হয় বলে জানান সন্দীপের স্ত্রী। ইডি হানা প্রসঙ্গে সন্দীপবাবুর বৃদ্ধা মা জানান, “সন্দীপের বাবা অমল সাধুখাঁ রেলে চাকরি করতেন। ২০০৮ সালে মারা যান। ছেলে তার আগেই পঞ্চায়েতে চাকরি পায়। এরপর ১৯৮৪ সালে নিজেই জমি কিনে বাড়ি করে। ইডি কেন এসেছে সেই বিষয়ে তার কিছু জানা নেই। ”
আরও পড়ুন: ফুঁসছে জোড়া ঘূর্ণাবর্ত! একটু পরই তুমুল বৃষ্টি কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের ৪ জেলায়: আবহাওয়ার খবর
তবে কেবল হুগলির চন্দনগরেই নয়, আজ সকাল থেকে ১০০ দিনের কাজে ‘দুর্নীতি’র তদন্তে রাজ্যের চার জেলায় হানা দিয়েছে ইডি। উত্তর ২৪ পরগনার সল্টলেক, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে পাশাপাশি হুগলির চুঁচুড়ায় চলেছে তল্লাশি। ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দায়ের হওয়া মোট ৫টি মামলার প্রেক্ষিতে তল্লাশি অভিযানে নেমেছে ইডি।