বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: অ্যাডিলেডের মাঠকে কেন্দ্র করে একটা প্রবাদ এতদিন ধরে খুব প্রচলিত ছিল অস্ট্রেলিয়ায়। এই মাঠে নাকি টসে জিতেছে এমন দল কোনদিনও ম্যাচ জিততে পারেনি। আজকের আগে অবধি ১১ টি ম্যাচে টসে হারা দলই জয় পেয়েছে। কিন্তু সেই প্রবাদকে আজ টরেন্স নদীর জলে ভাসিয়ে দিলেন বাটলাররা। ভারতীয় ব্যাটিংকে ১৬৮-তে আটকে রাখার পর ভারতীয় বোলারদের রীতিমতো কচুকাটা করে ১০ উইকেট হাতে রেখেই ম্যাচ জিতল ইংল্যান্ড।
আজ পথে জেতার পর প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইংল্যান্ড। সেই সিদ্ধান্ত যে কতটা সঠিক ছিল সেটা নিজেদের পারফরম্যান্সের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিল তারা। দুই ভারতীয় ওপেনার লোকেশ রাহুল এবং রোহিত শর্মা আজ আবার ব্যর্থ। সূর্যকুমার যাদব কিছুটা নিজের পরিচিত ঝলক দেখিয়ে বড় ম্যাচে নিজের ব্যর্থ হওয়ার ধারা অব্যাহত রেখেছেন আজও।
এমন পরিস্থিতিতে বিরাট কোহলির শুরুর দিকে ইচ্ছা থাকলেও আগ্রাসে ব্যাটিং করতে পারেননি। কারণ উল্টো দিক দিয়ে একের পর এক সঙ্গীকে হারাচ্ছিলেন তিনি। শেষপর্যন্ত ৩৯ বলে তিনি যখন নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেছিলেন তখন অনেকেই আশা করেছিলেন যে এবার হয়তো তিনি হাত খুলবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ৫০ রান পূর্ণ করার পরেই তাকে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়। ভারতীয় দল হার্দিকের ৩৩ বলে ৬৩ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে ১৬৮ অবধি পৌঁছয়।
এরপর সকলে যখন ভারতীয় বোলারদের কাছ থেকে একটা পাল্টা আঘাতের প্রত্যাশা করছিলেন তখন বাটলার এবং হেইলস, দুই ইংল্যান্ড ওপেনার চোখে আঙুল দিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের বাস্তবটা দেখিয়ে দেন। অ্যাডিলেডের মাঠে ১৯০ থেকে ২০০-র মতো রান তোর ওঠে না তুলে জেতার আশা করা যে নেহাত বাতুলতা সেটা স্পষ্ট হয়ে যায় আরো একবার। ভারতীয় স্পিনার, পেসার, মিডিয়াম পেসার প্রত্যেকের বিরুদ্ধে তারা সাবলীল ছিলেন।
শেষ পর্যন্ত চার ওভার বাকি থাকতেই কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড। কোন উইকেট না হারিয়েই বিশাল জয় পেয়ে পাকিস্তানকে বার্তা দিয়ে রাখল তারা। বাটলার ৪৯ বলে ৮০ এবং হেইলস ৪৭ বলে ৮৬ রান করে অপরাজিত থাকেন।