বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতবারের যুদ্ধ হারের মধুর প্রতিশোধ নিয়ে নিল ইংল্যান্ড। ভারতে ইংল্যান্ডকে হারিয়েই ২০১৬ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবার কার্যত প্রথম ম্যাচেই তার বদলা নিয়ে নিল মর্গ্যান বাহিনী। টসে জিতে এদিন প্রথম বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইংল্যান্ড। আর সেই সিদ্ধান্তই কার্যত সোনার ফসল দিল দুবাইয়ের উইকেটে।
সিমন্স, লুইস, গেইল, ব্রাভো, পোলার্ড, রাসেল সকলেই আজ ছিলেন ক্ষণিকের অতিথি। এমনকি গেইল ছাড়া দুই অঙ্কের স্কোরেও পৌঁছাতে পারেননি কেউই। যার জেরে ইংল্যান্ডের সামনে লজ্জাজনক ৫৫ রানে অলআউট হয়ে যেতে হয় ক্যারিবিয়ানদের। ইউনিভার্স বসের ১৩-ই ছিল দলের সর্বোচ্চ রান। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচ হারার পর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে একটু আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল ঠিকই কিন্তু আদিল রশিদ, মঈন আলিদের সামনে এভাবে ভেঙে পড়বেন তারা তা হয়তো ভাবতে পারেননি কেউই।
ইংল্যান্ডের হয়ে এদিন মাত্র দু রান খরচ করে চার চারটি উইকেট শিকার করেন আদিল রশিদ। রাসেল, পোলার্ড থেকে শুরু করে লোয়ার অর্ডারের কোমর আজ একাই ভেঙে দিয়েছিলেন তিনি। দুটি করে উইকেট পান মঈন এবং তামিল। একটি করে উইকেট ভাগ করে নেন জর্ডান এবং ওকস। দুবাইতে এদিন মাত্র ১৪.২ বলই ক্রিজে টিকে থাকতে পেরেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড়রা। একথা ঠিক যে পিচের প্রভাব কিছুটা ছিল স্পিনারদের পক্ষে।
https://twitter.com/ICC/status/1451949468916584451?t=ClzXSQqujbaZeV0Lu4-LwQ&s=19
কারন জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮.২ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নিলেও চার চারটি উইকেট হারিয়ে ছিল ইংল্যান্ডও৷ যার মধ্যে দুটি উইকেটই তুলে নেন বাঁহাতি স্পিনার আকিল হোসেন। বলাই যায় ৫৬ রান তুলতেই রীতিমত ঘাম ছুটে গিয়েছিল ইংরেজদের। তবে একদিকে নট আউট ছিলেন বাটলার। তার গুরুত্বপূর্ণ ২৪ রানের ইনিংস এবং মর্গ্যানের সহচর্যে জয় পৌঁছাতে দিন কোনও সমস্যা হয়নি ইংল্যান্ডের।