বাংলাহান্ট ডেস্ক : আজকাল বাড়িতে রোগের ছড়াছড়ি। সুস্থ মানুষ খুঁজে পাওয়া সত্যিই দুষ্কর। প্রতিদিন গাদা গুচ্ছের ট্যাবলেট, সিরাপ খেতে খেতে প্রাণ ওষ্ঠাগত। সঙ্গে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা (Blood Test) তো আছেই। এই রোগের চক্করে পড়ে টাকার তো শ্রাদ্ধ হচ্ছেই, সেই সাথে দিনের পর দিন আয়ু কমে আসছে। তবে এই রোগ তখনই চেপে বসে যখন চিকিৎসা করাতে দেরি হয়ে যায়। আপনাদের অবহেলায় এই রোগ আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
আরোও পড়ুন : মহালয়ায় ফের ঝেঁপে বৃষ্টি? দক্ষিণবঙ্গের কোন কোন জেলা ভিজবে? আবহাওয়ার আগাম খবর
আমরা সবসময় রোগের লক্ষণ দেখা দেওয়ার পরই রোগ সারাতে ছুটি। কিন্তু মাথায় রাখবেন এমন অনেক রোগ রয়েছে যেগুলির লক্ষণ সহজে ধরা পড়ে না। আর যখন ধরা পড়ে তখন ভয়াবহ আকার নিয়ে নেয়। তাই গবেষকদের মতে, প্রতি বছর শরীরের বিশেষ কিছু পরীক্ষা (Blood Test) করালে আগে ভাগে বাঁচা যায়। এই পরীক্ষাগুলি (Blood Test) শরীরের অবস্থা বলে দেয়। সাথে আগেভাগেই হওয়া যায় সাবধান।
কোন টেস্টগুলি (Blood Test) করাবেন দেখুন:
১) CBC ( Complete Blood Test ):
প্রতিবছর একবার করে হলেও এই টেস্ট করানো উচিত। এই ব্লাড টেস্টের (Blood Test) মাধ্যমে রক্তের মধ্যে কণার মাত্রা জানা যায়। বিশেষ করে লোহিত কণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা, হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক আছে কিনা তা জানা আবশ্যক। সেই সাথে আপনি অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত কিনা তাও সহজে সনাক্ত করা যায়। এমনকি রক্তে কোন সংক্রমণ হয়েছে কিংবা রক্ত জমাট বাঁধার মত সমস্যা তৈরি হয়েছে কিনা তাও জানতে পারবেন।
আরোও পড়ুন : কী ভয়ঙ্কর কাণ্ড! গাড়ির উপরে উঠে পড়ে মানুষ! পুলিশের সাহায্যে সে যাত্রা প্রাণ হাতে নিয়ে ফেরেন বিশ্বজিৎ
২) লিভার ফাংশন টেস্ট:
শরীরের অন্যতম ইঞ্জিন হচ্ছে লিভার। এই লিভার সুস্থ আছে কিনা সেটা জানা সবার আগে জরুরী। এইজন্য বছরে একবার হলেও লিভার ফাংশন টেস্ট করানো দরকার। এই টেস্টের মাধ্যমে লিভার খারাপ হয়ে গেছে কিনা, কিংবা লিভার স্টোন হয়েছে কিনা সব বিষয় জানা যাবে।
৩) এইচবিএ১সি ( Hba1c ):
রক্তে শর্করার মাত্রা কখন বেড়ে যাবে তা সহজে ধরা যাবে না। ফলে সাইলেন্টলি শরীরে এসে বাসা বাঁধে ডায়াবেটিস। আর তাই এই রোগের হাত থেকে বাঁচতে প্রতি বছর গ্লুকোজ পরীক্ষা করানো উচিত। এতে করে সহজেই ধরা পড়বে শর্করার মাত্রা। মনে রাখবেন ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ শরীরে বাসা বাঁধলে মৃত্যু পর্যন্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই গ্লুকোজ ফাস্টিং এবং এইচবিএ১সি রক্ত পরীক্ষা নির্দিষ্ট সময় করিয়ে নিন।
৪) লিপিড প্রোফাইল টেস্ট:
সুস্থ জীবনযাপনের জন্য লিপিড প্রোফাইল টেস্ট করা আবশ্যক। এই টেস্টের মাধ্যমে শরীরে কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা জানা যায়। গবেষকদের মতে এই দুই উপাদানের মাত্রা শরীরের বেড়ে গেলে স্ট্রোক এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। তাই প্রতি বছর একবার হলেও এই টেস্ট করিয়ে নিন।
৫) থাইরয়েড টেস্ট:
ব্লাড টেস্টের (Blood Test) পাশাপাশি থাইরয়েড টেস্ট করানোও গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে থাইরয়েড গ্রন্থি ঠিকভাবে কাজ করছে কিনা এবং হরমোন সঠিক মাত্রায় নিঃসরণ হচ্ছে কিনা, এমনকি শরীরে ইমিউনিটি সিস্টেম ঠিকভাবে আছে কিনা বলে দেয় এই টেস্ট।