বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাংলার (west bengal) ক্ষমতায় তিনবার আসার পর থেকেই দিল্লী জয়ের আত্মবিশ্বাসটা অনেকখানি বেড়ে গিয়েছে তৃণমূলের (tmc)। সেই মর্মে দিকে দিকে জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছে সবুজ শিবির। চলছে বিভিন্ন রাজ্যে সবুজ আভা ছড়িয়ে দেওয়ার কাজও। এরই মধ্যে আবার ১ লা জানুয়ারি তৃণমূলের প্রতিষ্ঠাতা দিবসে বাংলা ছাড়াও বেশকিছু রাজ্যে পালিত হবে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস- এমনটা জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই গোয়া, ত্রিপুরা, দিল্লী, মেঘালয়, মুম্বাই-এ তৃণমূলের ক্ষমতা বৃদ্ধির দিকে অগ্রসর হচ্ছে ঘাসফুল শিবির। করোনা আবহকে সঙ্গে নিয়ে একুশের ক্যালেন্ডার শুরু হলেও, এক্ষেত্রে তৃণমূলের সফলতা সর্বত্রই প্রকাশ পাচ্ছে। প্রথমেই দেখা গিয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধীদের হারিয়ে বিশাল ব্যবধানে জয়ী হয় তৃণমূল শিবির। তৃতীয়বারের জন্য বাংলার ক্ষমতায় আবার ফেরে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রীর আসনে আবার বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরপর কলকাতা পুরভোটেও বিশাল ব্যবধানে বিরোধীদের হারিয়ে নিজেদের জায়গা ঠিক রাখে তৃণমূল শিবির। যার ফলে দিল্লী জয়ের লক্ষ্যে আরও এক পদক্ষেপ এগিয়ে যায় তৃণমূল শিবির। পাশাপাশি ইতিমধ্যেই গোয়া, দিল্লী, মুম্বাইয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে গিয়ে বিরোধী শক্তিগুলোকে একজোট করার রাজনৈতিক প্রচার সেরে এসেছেন। আর অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের আরও নেতৃত্বরা গিয়েছে ত্রিপুরাতেও।
পূর্বেই এইবছর ২১ শে জুলাইয়ে তৃণমূলনেত্রীর গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ গোটা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কোমড় বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছিল তৃণমূল শিবির। বাংলার সর্বত্র মাইক, জায়েন্ট স্ক্রিন লাগিয়ে দেওয়ার পর, দিল্লী, উত্তরপ্রদেশ, ত্রিপুরা, গুজরাট, অসম, ঝাড়খণ্ড, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাবেও ছড়িয়ে পড়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ।
এবারও এই দিকে এগোচ্ছে তৃণমূল শিবির। শোনা গিয়েছে সেই মর্মে ১ লা জানুয়ারি তৃণমূলের প্রতিষ্ঠাতা দিবসে বাংলা ছাড়াও ভার্চুয়ালী এই সভা আয়োজিত হবে গোয়া, ত্রিপুরা, মেঘালয়, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাটেও। সেই দিকেই এগোচ্ছে সবুজ বাহিনী।