বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর বিষয় সামনে এসেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ইউরোপিয় ইউনিয়ন অ্যাভিয়েশন সেফটি এজেন্সি (European Union Aviation Safety Agency, EASA) এবার পাকিস্তানের (Pakistan) লাহোর এবং করাচির উপর দিয়ে বিমানের উড়ানের ক্ষেত্রে FL 260-এর নিচ দিয়ে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। জানিয়ে রাখি যে, FL মানে হল ফ্লাইট অল্টিটিউড বা উড়ানের সময় বিমানের উচ্চতা। এমতাবস্থায়, FL 260 মানে হল ২৬ হাজার ফুটের নিচে বিমান যাত্রায় নিষেধের বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মূলত, ওই সংস্থাটি “পাকিস্তানের বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি”-র পরিপ্রেক্ষিতে এই পরামর্শ জারি করেছে। যেখানে বলা হয়েছে যে, ওই এলাকায় বিমান MANPADS (Man-Portable Air-Defence Systems)-এর মতো অ্যান্টি অ্যাভিয়েশন অস্ত্র দ্বারা আক্রমণ করা যেতে পারে। যদিও EASA-এর পরামর্শ “Non Binding” পর্যায়ে রয়েছে। এর মানে হল যে, বিমান সংস্থাগুলি এটি অনুসরণ করতে বাধ্য নয়৷
তবে, EASA তার সাম্প্রতিক অ্যাডভাইজরি নোটে জানিয়েছে, “সিভিল অ্যাভিয়েশনের জন্য ক্রমাগত হুমকি রয়েছে। তাই FL 260-এর নিচে উচ্চতায় বিমানের উড়ানের ক্ষেত্রে বড় ঝুঁকি রয়েছে।” এদিকে, জিও নিউজ অনুযায়ী জানা গিয়েছে, EASA এয়ার অপারেটরদের ঝুঁকি মূল্যায়ন করার সময় এই তথ্য এবং অন্যান্য তথ্য বিবেচনা করার ক্ষেত্রে পরামর্শ দিয়েছে। পাশাপাশি, EASA গত বছর জারি করা ফরাসি এবং জার্মান এয়ার অপারেটরদের জন্য অনুরূপ পরামর্শের বিষয়টিও উদ্ধৃত করেছে।
গত বছরও অ্যাডভাইজারি জারি করা হয়েছিল: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, সংস্থাটি গত বছরের নভেম্বরেও একই ধরণের অ্যাডভাইজারি জারি করেছিল। যেটিতে সমস্ত অপারেটরকে পাকিস্তানের উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় চরম সতর্কতা অবলম্বন করার পাশাপাশি ২৪,০০০ ফুটের (৭,৩০০ মিটার) নিচ দিয়ে না চলাচলের পরামর্শ দেওয়া হয়। উল্লেখ্য যে, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠন সক্রিয় হওয়ার পর পাকিস্তানে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পাশাপাশি, ওই দেশে দ্রুত সন্ত্রাসবাদী হামলাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
পাকিস্তানে বিস্ফোরণ: ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া রাজ্যের বাজাউরে গত রবিবার একটি বড় বিস্ফোরণ ঘটেছে। মূলত, রাজনৈতিক দল জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম-ফজল (জেইউআই-এফ)-এর কর্মী সম্মেলনের সময়ে এই ভয়াবহ বিস্ফোরণটি ঘটে। যেখানে ৩৫ জন নিহত এবং ৫০ জনেরও বেশি আহত হন।
এদিকে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট দলের এক বর্ষীয়ান নেতা ঘটনাটিকে “সন্ত্রাস” হিসেবে অভিহিত করে বিস্ফোরণের তদন্ত দাবি করেছেন। তবে, এটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ নাকি কেউ বোমাটি প্ল্যান্ট করেছিল সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।