ভারতের এই গ্রামের প্রতিটি বাড়িতেই রয়েছেন IIT ইঞ্জিনিয়ার, লোকে বলে ‘ভিলেজ অফ আইআইটিয়ান্স”

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: আমাদের দেশে মেধার অভাব নেই, অভাব আছে কেবল সঠিক পরিচর্যার। এমন ঘটনা অনেকক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে যে একজন মানুষকে সাফল্য পেতে দেখে অন্য একজন অনুপ্রাণিত হয়েছে তার প্রচেষ্টা দেখে। তারপরও দুর্ভাগ্যের বিষয় যে আজও আমাদের দেশে এমন অনেক ছোট জায়গা আছে যেখানে বাচ্চারা পড়াশোনার সুযোগ-সুবিধা পায় না। কিন্তু তাদের মধ্যে থেকেও কিছু এমন মানুষ থাকেন যারা নিজেদের প্রচেষ্টার মধ্যে দিয়ে জীবনে সফলতা নিয়ে আসে।

আমাদের প্রতিবেশী রাজ্য বিহারে রয়েছে এমন একটি ছোট গ্রাম, যেখানে এভাবেই সাফল্য অর্জন করেছেন একাধিক পড়ুয়া গ্রামবাসী। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো এই যে এই গ্রামটি থেকে পড়াশোনা করে সাফল্য পাওয়ার হার এতটাই বেশি যে অনেক সময় গ্রামটিকে বলা হয় আইআইটিয়ানদের গ্রাম। যদিও একটা সময় গ্রামটি বিখ্যাত ছিল তাঁতশিল্পের জন্য। কিন্তু বর্তমানে এই গ্রামটির আইআইটিয়ানদের জন্য তাঁতশিল্পের জনপ্রিয়তা চলে গেছে দ্বিতীয় সারিতে।

   

এই গ্রামটি বিহারের গয়া জেলার পাটোয়া টলি গ্রাম। এই গ্রামের ছেলেরা গত আড়াই দশক ধরে এক অসম্ভব কান্ড ঘটিয়ে চলেছে। প্রতি বছরই পাটোয়া টলি গ্রামে বেশ কয়েকজন ছাত্র নির্বাচিত হন আইআইটি এবং এনআইটি-এর জন্য।প্রথবারের ১৯৯৬ সালে সেখানকার কিছু ছেলেমেয়েরা আইআইটি-তে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়। তারপরে তাদের দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে সেই গ্রামের শিশুদের মধ্যে একটি কঠোর পরিশ্রমের ধারা গড়ে উঠতে শুরু করে। আর এখন আশ্চর্যজনকভাবে প্রতি বছর সেখানকার ছেলেমেয়েরা আইআইটিতে সিলেক্ট হতে থাকে।

একসময় বিহারের ম্যানচেস্টার নামে বিখ্যাত ছিল গ্রামটি। এখানে প্রতিটি বাড়িতে রাস্তায় তাঁত থেকে চাদর, গামছা, গামছা তৈরির তৈরি হত। এখন তাদের ঘরে ঘরে একটি করে ইঞ্জিনিয়ার। ১৯৯০-র দশকের শেষের দিকে যখন পাটোয়া টলির জন্য ছিল অর্থনৈতিক মন্দার সময়। তখনই পাটোয়াতলীর তাঁতিরা তাদের সন্তানদের লেখাপড়ায় আগ্রহী করে তোলেন। পাটওয়াটলির প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্ররা একত্রে নবপ্রয়াস নামে একটি সংগঠন গড়ে তুলেছে যার ফলও এখন হাতেনাতে পাওয়া যাচ্ছে।

Avatar
Reetabrata Deb

সম্পর্কিত খবর